রাজ্যসভায় নয়া রেকর্ড গড়ল বিজেপি। সংসদের উচ্চকক্ষে গেরুয়া শিবিরের সদস্যসংখ্যা একশো ছুঁয়ে ফেলল। ১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম কোনও দল রাজ্যসভায় একক শক্তিতে ১০০ ছুঁল। উল্টোদিকে কোনঠাসা হতে হতে কংগ্রেস এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যাতে সংসদের উচ্চকক্ষে বিরোধী দলের তকমা হারানো এখন সময়ের অপেক্ষা।
শুক্রবার রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন ১৩ জন। যার মধ্যে ১০ জনই কার্যতই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই গদি দখল করেন। অসমের দুটি এবং ত্রিপুরার ১টি আসনে শুক্রবার হওয়া নির্বাচনে জয়ী হয় বিজেপি এবং তাদের জোটসঙ্গীরাই। হিসেব মত, অসম বিধানসভার দুটি আসনের মধ্যে একটি থেকে জেতার কথা ছিল কংগ্রেসেরই। কিন্তু আসল সময় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বিরোধী ঐক্য। সেমসাইড গোলেই ভেস্তে যায় সবকিছু।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ভোটের পর টুইট করে দাবি করেন, ‘রাজ্যসভার দুটি আসনেই আমরা (একটি বিজেপি ও একটি আমাদের শরিক দল ইউপিপিএল) বড় ব্যবধানে জিতেছি। একটি আসনে ১১ ভোটে আরও একটি আসনে ৯ ভোটে জিতেছি আমরা।’ উল্লেখ্য, মার্গেরিতা ৪৬ ভোট এবং নারজারি ৪৪ ভোট পান। এদিকে কংগ্রেসের রিপুন বোরা মাত্র ৩৪ ভোট পান। দু’ টি ভোট বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১২৬ সদস্যের বিধানসভায় মোট ৮২টি ভোট ছিল শাসক জোটের পক্ষে। এদকে একজন প্রার্থীকে জিততে ন্যূনতম ৪৩টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। এই আবহে ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষে দ্বিতীয় আসনে জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ ছিল। দ্বিতীয় আসনটি জেতার ক্ষেত্রে চার ভোটে পিছিয়ে ছিল শাসক জোট। কিন্তু বিরোধী দলে ফাটল ধরায় উভয় আসনেই জয় পেল বিজেপি।