বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে এবার গর্জে উঠলেন আসামের বরাক উপত্যকার মানুষ।
সোমবার বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়ে, আন্তর্জাতিক সীমানা পেরোনর চেষ্টা করে, বাংলাদেশের পণ্য বয়কট করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আন্দোলনে সামিল হন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকেই এই আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। ভারত সেবাশ্রম সংঘ, শঙ্কর মঠ, গৌড়ীয় মঠ, বজরং দল, আরএসএসের মহিলা শাখার উদ্যোগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনের ঝাঁঝ এতটাই বেড়ে যায় যে করিমগঞ্জ জেলায় কুশিয়ারা নদী পেরিয়ে শতাধিক আন্দোলনকারী বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন। হাইলাকান্দি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়।
এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ রাখার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি বাংলাদেশ চাইছে সে দেশ থেকে হিন্দুদের তাড়িয়ে দিতে। এই হিংসা ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ। করিমগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রঞ্জন দাস বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আগে যেভাবে আমরা সব বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়েছিলাম সেভাবেই ভারত যদি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তবে ওই দেশ খেতে পাবে না। বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত খাদ্য সামগ্রী আসছে তা বয়কট করা দরকার। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এনিয়ে চিঠি লিখেছি। আমরা অনুরোধ করেছি বাংলাদেশকে যাতে একটা কড়া বার্তা দেওয়া যায়। সেখানে যাতে হিন্দুদের আর হয়রানি করা না হয় সেজন্যই এই বার্তা দেওয়া দরকার। বিজেপি নেতা সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ ভুলে গিয়েছে পাকিস্তানের হাত থেকে তাদের বাঁচিয়েছিল ভারতই।