মাইনাস ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভোর ৩টের সময় খালি গায়ে ধ্যান করছেন দুই যোগী। গুঁড়ি গুঁড়ি বরফ পড়ছে। কিন্তু তাঁরা অবিচল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কেদারনাথ মন্দিরের সামনে ধ্যানমগ্ন দুই যোগীর এই ভিডিও।
সনাতন ধর্মে বরাবরই মন বা মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অনেক অসম্বই সম্ভব করা যায়। এমনকী মনকে নিয়ন্ত্রণ করে খিদে বোধ, গরম-ঠান্ডা লাগা, ব্যথা-বেদনা সবই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যাবতীয় জাগতিক বাধা অতিক্রম করা সম্ভব বলে শোনা যায়।
ভারতীয় সাধু বা ঋষিরা সেই প্রাচীন কাল থেকে ধ্যানের মাধ্যমে এই মনকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলই অনুশীলন করেন। এই মনের উপর দখল নিয়েই তারা খিদে-তৃষ্ণা বা গরম-ঠান্ডা বোধকে তুচ্ছ করে ফেলেন, এমনটাই শোনা যায়। গঙ্গাসাগর মেলায় প্রবল শীতের মধ্যেও নাগা সন্নাসীদের কোনও আচ্ছাদন ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। মকর সংক্রান্তির দিন সঙ্গমে ডুবও দেন তাঁরা। তবে, কেদারনাথ ধামের এই দুই সাধুর ধ্যানের দৃশ্য যেন অতিলৌকিক।
ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ ধামে প্রবল তুষারপাতের মধ্যে ভোর ৩টেয় হিমাঙ্কের নীচে থাকা তাপমাত্রায় ধ্যান করছেন দুই ভারতীয় যোগী। প্রবল ভক্তি ও বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁরা ভগবান শিবের উপাসনা করছেন। তাঁদের পরণে পোশাক বলতে, শুধুমাত্র নিম্নাঙ্গে গেরুয়া ধুতি। ঊর্ধ্বাঙ্গ একেবারে অনাবৃত। এই অবস্থায় ধ্যানমুদ্রায় বসে আছেন তাঁরা। পিছনে দেখা যাচ্ছে কেদারনাথ মন্দির। তুষারপাতে চারপাশ সাদা হয়ে যাচ্ছে। তাদের গায়েও বরফ পড়ছে, কিন্তু ধ্যানের তেজে যেন সেই বরফ, বাষ্প হয়ে উবে যাচ্ছে। তাপমাত্রা যে মাইনাস ১০ ডিগ্রি, তা বোঝার উপায় নেই। নেটিজেনরা বলছেন, এটাই সাধনা, ভগবান শিবের শক্তি।