ইহুদিদের কোন দেশ ছিল না l বাইবেলে লেখা ছিল এই ভূখন্ডই ওঁদের ভূমি l তাই, উনবিংশ শতকের শেষ থেকে এখানে জমি কেনা শুরু করে বড়লোক ইহুদিরা l আর পাঠাতে থাকে গরীব ইহুদিদের বসবাসের জন্য l ধীরে ধীরে একটা দেশ কিনে নেয় তারা l একে বলে সত্যিকারের নীল রক্ত l একটা সময়ের পর প্যালেসটাইনের লোকজন বুঝতেই ঝামেলা শুরু l তারপর ইতিহাস l
বাঙালী ১৯৪৭ এ ৭০% জমি ছেড়ে দেয় (বাংলাদেশ ) l বাকী ৩০% (পশ্চিমবঙ্গ ) ভূমি সংস্কার করে বিলিয়ে নিজেদের পরিযায়ী বানিয়ে বুক ফুলিয়ে গর্ব করে “অবোধের গোবধে আনন্দ” প্রবাদ প্রমান করে গেছে আমাদের আগের প্রজন্ম l ইহুদিদের উল্টো রাস্তায় গিয়ে আমাদের সর্বহারারা বড়লোকদের ভূমিহীন করেছে l উড়িয়া, তেলেগু, তামিল, কন্নড় মারাঠি, গুজরাটি কে আমাদের মত এত উদার?
ইহুদিরা সারা পৃথিবী থেকে জড়ো হয়েছে একটা ভুখন্ডে l ভূমিহীন জাতকে ভূমি ফিরে পেতে হলে কত সংগ্রাম করতে হয় তার প্রমান ইহুদি, পারসি, কাশ্মীরি, সিন্ধিরা l লাইনে দাঁড়িয়ে হিন্দু বাঙালী l কিন্তু বাঙালী ইতিহাস থেকে কিছু শেখেনি l কারণ রমিলা থাপার, ইরফান হাবিবের ইতিহাস আমাদের পড়িয়েছে কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দেশপ্রেমিক’ অধ্যাপকরা l রাস্তায় ছুড়ে ফেলেছি রমেশচন্দ্র মজুমদার, যাদুনাথ সরকারের বই l পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রন্থাগার থেকে সরিয়ে দিয়েছে তাঁদের লেখা l নিজেদের ভূখন্ড বাকীদের বিলিয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কারের অপেক্ষায় বসে আছে বাঙালী l তাই মরুভূমিতে তিনবার চাষ করে ইসরায়েল l অতিরিক্ত জল থাকার পরেও আমাদের চাষীরা কাশ্মীরে আপেল কুড়োতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরে l
সুদীপ্ত গুহ