এ বছর চিনকেও ছাপিয়ে এক নম্বরে থাকবে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার, আশার পূর্বাভাস আইএমএফের

করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে নেতি নেতি করে কেটেছে গত বছর। বৃদ্ধির পরিবর্তে ভারতের অর্থনীতির সংকোচন ঘটেছে। শেষ দুই ত্রৈমাসিকে পর পর সংকোচন হওয়ায় মন্দা গ্রাসে চলে গিয়েছিল অর্থনীতি।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার তথা আইএমএফ তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, একুশ সালে জোরদার ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে ভারত। আর্থিক বৃদ্ধির হার দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে হতে পারে ১১. ৫ শতাংশ। বৃদ্ধির সমস্ত বড় দেশ তথা অর্থনীতির মধ্যে একমাত্র ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার দুই অঙ্ক ছাড়াতে পারে।

আইএমএফ জানিয়েছে, কুড়ি সালে ভারতের অর্থনীতি ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এখন করোনার প্রকোপ কমেছে। ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। অর্থনীতির স্বাভাবিক কাজকর্ম শুধু শুরু হয়েছে তা নয়, ঘুরে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার প্রবণতা ও চেষ্টা বাড়ছে।

আইএমএফের পূর্বাভাস, ভারতের পরই সবথেকে বেশি হারে বৃদ্ধি হতে পারে চিনের। তবে চিনের আর্থিক বৃদ্ধিও দুই অঙ্ক ছাড়াবে না। ৮.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হতে পারে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশে।

তাৎপর্যপূর্ণ হল, কোভিড কালে অর্থনৈতিক ভাবে মজবুত প্রায় সবকটি দেশের আর্থিক সংকোচন হলেও, একমাত্র কমিউনিস্ট চিনই বৃদ্ধির পথে ছিল। কোভিড পরিস্থিতিতেও চিনের আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে ২.৩ শতাংশ হারে।

আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের মতে, একুশ সালে ভারতের অর্থনীতির ১১.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির পর পূর্বের অবস্থায় ফিরতে পারে। তার পর ২০২২ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ৬.৮ শতাংশ হারে। সেই বছর চিনের বৃদ্ধি হতে পারে ৫.৬ শতাংশ হারে।

আইএমএফ চিফ ক্রিস্টালিনা জর্জিওভার আগেই বলেছিলেন, মহামারী কালে ভারত বেশ কিছু সঠিক পদক্ষেপ করেছে ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার কারণেই বিশ্বের বৃহত্তম এই গণতান্ত্রিক দেশ আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোও পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.