ঘুরে দাঁড়ালেও মাঝারি পর্যায়ের বৃদ্ধি হবে ভারতের: ফিচ

করোনার সংকটের কারণে ভারতের অর্থনীতি বেশ ধাক্কা খেয়েছে। ২০২২ সালের মার্চে যে অর্থবর্ষ শেষ হবে তখন কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও বৃদ্ধির গতি কিছুটা ধীর হবে ৬.৫ শতাংশ হারে অর্থবর্ষ ২৩ থেকে অর্থ বর্ষ ২৬এ। মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ এমনটাই জানাচ্ছে।

ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে ধারাভাষ্যে জানানো হয়েছে, সরবরাহ দিক থেকে এবং চাহিদার দিক থেকে বাধা এই দুইয়ের সমন্বয়ে আর্থিক ক্ষেত্র দুর্বল থাকবে এবং এর ফলে জিডিপি স্তর পূর্ববর্তী অবস্থা থেকে নিচে থাকবে। ফিচ জানিয়েছে, ভারতবর্ষকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে যা বিশ্বের চরম অবস্থায় থাকার দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।

বিশেষত লকডাউন জারি করা এবং সরাসরি আর্থিক সহায়তা সীমিত অবস্থায় থাকার দরুন।তবে অর্থনীতি এবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং সেটা আরো সহায়ক হবে আগামী কয়েক মাস ধরে ভ্যাকসিন দেওয়া চালু হলে।

তাছাড়া আশা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ অর্থবর্ষে ৯.৪ শতাংশ কমার পর জিডিপি ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ অর্থবর্ষে।ভারতের অর্থনীতি অবশ্য করোনা মাথাচাড়া দেওয়ার আগেই গতি হারিয়েছিল।

যার জন্য তার আগের বছরের ৬.১ শতাংশ থেকে নেমে গিয়ে ২০১৯ সালে দেখা গিয়েছিল জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশ যা তখন গত দশ বছরে সর্বনিম্ন হয়। এই অতি মহামারী মানব এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় নিয়ে এসেছে ভারতে, প্রায় ১.৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

তবে প্রতি মিলিয়নে মৃত্যু ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় বেশ কম। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি পড়েছে। এপ্রিল থেকে জুন এই ত্রৈমাসিকে ২০১৯ সালে সাপেক্ষে ২৩.৯ শতাংশ জিডিপি কমেছিল যা সূচিত করছে দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থেমে গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে চাহিদা শুকিয়ে গিয়েছে এবং তার সঙ্গে দেশের চাহিদা কমেছে।

তার পরের ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংকোচন ছিল ৭.৫ শতাংশ। ফিচ জানিয়েছে, মাঝারি পর্যায়ের ঘুরে দাঁড়ানোর ও গতি ধীর হবে। সরবরাহের দিকটা কমে যাবে যেহেতু মূলধন পাওয়ার গতি ধীর হবে এবং বিনিয়োগ কিছুটা কম হবে। এর ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর গতি চাপা থাকবে।

অর্থবর্ষ ২১ থেকে অর্থবর্ষ ২৬ এই সময় জিডিপি বৃদ্ধি ৫.১ শতাংশ ধরা হয়েছে যদিও করোনা পূর্ববর্তী সময় এই পূর্বাভাসে বৃদ্ধির হার ধরা হয়েছিল ৭ শতাংশ। ঋণ সরবরাহ এবং ভঙ্গুর আর্থিক ব্যবস্থা লগ্নির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ব্যাংক ব্যবস্থার সংকট হল গুণগত দিক থেকে দুর্বল সম্পদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.