দেশের বাজারে ফের চিনা পণ্য বয়কটের দাবি উঠল নেট দুনিয়ায়৷ হ্যাশট্যাগ বয়কট চাইনিজ প্রোডাক্ট ট্রেন্ড শুরু হয়েছে ট্যুইটারে৷ পাক জঙ্গি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেওয়ার পথে চিন দেওয়ালের মতো বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দেশের একটা বড় অংশের জনমানসে৷ সেই ক্ষোভ তারা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ দেশবাসীর কাছে তাদের আর্জি, চিনের পণ্য বয়কট করা হোক৷ তবেই উচিত শিক্ষা পাবে প্রতিবেশী এই দেশটি৷

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনা পণ্য বয়কট করা নিয়ে নানা ট্যুইট তাদের রিপোর্টে তুলে ধরেছে৷ সেখানে কমল কুমার নামে একজন লিখেছেন, ভারতীয়দের উচিত চিনকে এর জবাব দেওয়ার৷ চিনা পণ্য বয়কট করে দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখান৷ এটা হবে দেশ ও শহিদ জওয়ানদের প্রতি সবার অবদান৷
আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমার পথে বাধা তৈরি করেছে চিন৷ তাই সব ভারতীয়র উচিত চিনা পণ্য বয়কট করে তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া৷

https://twitter.com/upasanatigress/status/1106033376916619264?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1106033376916619264&ref_url=https%3A%2F%2Fkolkata24x7.com%2Findia-wants-to-boycott-chinese-products-after-china-blocks-bid-to-list-jem-chief-as-global-terrorist-again.html

আরও একজন লেখেন, চিনের তৈরি স্মার্টফোন থেকে পেন সব বর্জন করা উচিত আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন সব ভারতীয়৷ মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দিতে বাধা দেওয়ায় চিন সন্ত্রাসবাদকেই সমর্থন করেছে৷ আরও একজন লেখেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর৷ আর চিন সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা৷ সব ভারতীয়র এখনই জেগে ওঠা উচিত এবং চিনা পণ্য বর্জন করা উচিত৷

এর আগেও দেশজুড়ে চিনা পণ্য পুরোপুরি বর্জনের দাবি উঠেছিল৷ উরি হামলার পর চিন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল৷ তখন দেশ জুড়ে চিনা পণ্য বয়কট করা শুরু হয়৷ ২০১৬ সালে দীপাবলীর আগে চিনা পণ্যের বিক্রির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়৷ এতে চিন্তা বাড়ে বেজিংয়ের৷ তারা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, চিনা পণ্য বয়কট করলে ক্ষতি হবে ভারতেরই। কারণ তাতে দ্বিপাক্ষীক সহযোগিতার সম্পর্ক ধাক্কা খাবে এবং ভারতে চিনা প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু চীনের তেমন কোন ক্ষতিই হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.