পলাতক ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক (Zakir Nayek) একবার বলেছিলো, “মুসলিমদের জেহাদ করেই আবার ভারত (হিন্দুস্তান) দখল করতে হবে , তবে তরোয়াল বা বন্দুক দিয়ে নয় , দিমাক দিয়ে।”
কিন্তু কিভাবে ?
তার বক্তব্য ছিল খুব সাফ। সে বলেছে,” সংরক্ষণ প্রথা যদি হিন্দুদের পক্ষে বিষ হয় , তা আমাদের , মানে মুসলিমদের কাছে অমৃত।”
সুপ্রিম কোর্ট ধর্মীয় সংরক্ষণের আবেদন বহু আগেই বাতিল করে দিয়েছে, তাই ওই পদ্ধতিতে মুসলিমরা ভারতে হিন্দুদের চাকরির ক্ষেত্রে বা রাজনৈতিক বা সামাজিক ক্ষেত্রে কোনো ভাবেই টেক্কা দিতে পারবেনা বা বঞ্চিত করতে পারবেনা।
কিন্তু কংগ্রেস (Congress) ও কমিউনিস্টদের (Communist) দুরভিসন্দির ফলে চালাকি করে নিয়মের ফাক দিয়ে OBC (A) ক্যাটাগরির মাধ্যমে শুরু হয় মুসলিমদের শিক্ষা , চাকরি ও বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে সংরক্ষণ দেওয়া শুরু হয়। হিন্দুদের কোনঠাসা করে তাদের উদ্দেশ্য।
কিন্তু নীতিগত ভাবে এটা যেমনি অনৈতিক, তেমনি আইনগতভাবে তা বেআইনি।
বহু বছর আগে সংরক্ষণের বিপদজনক সংস্কৃতি চালু করা হয় মূলত হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভাজন করে ভোটে জেতবার জন্য। এই চক্রান্তের পিছনে মূলত হাত ছিল কংগ্রেস ও দোসর বামপন্থীরা,
কিন্তু ধর্মীয় সংরক্ষণের চেষ্টা করেও তারা সফল হয়নি ।মুসলিমদের সংরক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে নানা ভাবে আনার চেষ্টা হয়, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে OBC (A) ক্যাটাগরি মাধ্যমে মুসলিমদের বিশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, কিন্তু একমাত্র হিন্দু ধর্মেই বর্ণ প্রথা আছে, তাই সংরক্ষণ বা সংরক্ষণের সুবিধে শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়েরই পাওয়ার কথা ۔ ইসলাম (Islam) ও খ্রীষ্টান (Christianity) ধর্মে যেহেতু বর্ণ প্রথা নেই , সেহেতু এই দুটি ধর্মের দাৰ্শনিক তত্ত্বেই এই সংরক্ষণ খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত।
কিন্তু তা তো হচ্ছেইনা , উল্টে এই OBC (A) র মাধ্যমে শিক্ষা , চাকরি ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে হিন্দুদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশন(West Bengal State Election Commission) প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে OBC(A) ক্যাটাগরির নিরিখে বা আওতায় কোনো সংরক্ষণ রাখেনি। সেই ক্ষেত্রে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থী বা জন প্রতিনিধির সংখ্যা কমে যাবে , এবং এটা সব রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মে আর্জি জানিয়েছে বা নালিশ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কট্টরপন্থী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ মোমিন কনফারেন্স। এদের একটাই উদ্দেশ্য , রাজ্য তথা দেশের আইন সভায় ও রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে যত বেশি সংখ্যক মুসলিম ঢোকানো যায়।
জাকির নায়েকের সেই কুখ্যাত উক্তি অনেকেরই মনে আছে। সে একসময় বলেছিলো যে সংরক্ষণ প্রথা বা অন্য যে কোনো উপায়ে যেদিন ৩৩% শতাংশ আমলা ও ৩৩% শতাংশ জন প্রতিনিধি এই দেশে হলেই ভারত বা হিন্দুস্তান মুসলিম দেশে পরিণত হবে।
সেই দিন আবারো হিন্দুস্তান মুসলিমদের অধীনে চলে আসবে ও শুরু হবে মোঘল শাসন 2.0।