‘হিন্দুরা সংখ্যালঘু হলে, তাঁদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করতে পারে সে রাজ্যের সরকার’, সুপ্রিম কোর্টে মোদী সরকার

একটি রাজ্যের মোট জনসংখ্যা নির্ধারণের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়, সেই রাজ্যে কোন সম্প্রদায় সংখ্যালঘু। কেন্দ্রীয় সরকার এবার এই সংখ্যালঘু বিষয়কেই সুপ্রিম কোর্টে উপস্থাপন করল। কেন্দ্রের ঘোষণা, এবার যে সমস্ত রাজ্যগুলতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে তাঁরা সংখ্যালঘু হওয়ার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, হিন্দুরা সংখ্যায় কম আছে, এমন রাজ্যগুলি আর্টিকল ২৯ ও ৩০এর অধীনে সেই রাজ্যে বসবাসকারী হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসাবে চিহ্নিত করতে পারবে। কেন্দ্রের এই ঘোষণা মূলত টিএনএ ও অন্যান্য একাধিক মামলাকে কেন্দ্র করে পেশ করা হয়েছে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে একটি হলফনামা পেশ করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই হলফনামাতেই কেন্দ্র ‘হিন্দু সংখ্যালঘু’ হওয়ার বিষয়টির উল্লেখ করে।

হলফনামায় জানানো হয়, “যেহেতু রাজ্যগুলিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকেও চিহ্নিত করতে পারে, তাই আবেদনকারীর অভিযোগ ইহুদি, বাহাই এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা, যারা লাদাখ, মিজোরাম, লাক্ষাদ্বীপ, কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পঞ্জাব এবং মণিপুরে প্রকৃত সংখ্যালঘু, তাদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না, তা ঠিক নয়। রাজ্য সরকারগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্য স্তরে সংখ্যালঘু চিহ্নিতকরণের জন্য নির্দেশিকা নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.