হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন প্রকাশ্যে নামাজ পড়া যাবে না তাঁর রাজ্যে।
তিনি বলেন ধর্মালম্বীরা নিজেদের ধর্মস্থানে মসজিদ অথবা ঈদগাহতে নামাজ পড়বেন। খট্টর বলেন নামাজের নামে জায়গা দখল চলবে না।
“যদি কেউ নিজের বাড়িতে অথবা মসজিদে নামাজ পড়েন তাতে কোনো আপত্তি নেই আমাদের, কিন্তু প্রকাশ্যে তা করা যাবে না”, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেন।
উল্লেখ্য, গুরুগ্রামে বেশ কিছুদিন যাবৎ, প্রকাশ্যে জায়গা দখল করে নামাজ পড়া নিয়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির প্রস্তাব ছিল রাস্তায় নামাজ পড়া যাবেনা কিন্তু মসজিদ , মাদ্রাসা , বা ওয়াকফ বোর্ড এর জমিতে নামাজ পড়া যেতেই পারে।
এই প্রস্তাব মেনেও নেয় মুসলিম ন্যাশনাল ফোরামও, কিন্তু এই বিষয়ে অনড় মুসলিম একতা মঞ্চ (Muslim Ekta Manch)। ফলে প্রবল সংঘাত ও হানাহানির দিকে এগোচ্ছিল গুরুগ্রাম , বিশেষ করে সেকশন ৪৭ , ১২ এ , ১৮ ও ৩৭ (Section 47 ,12A , 18 and 37)।
প্রত্যেক শুক্রবার এই হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় জোর করে রাস্তা বন্ধ করে নামাজ পড়া শুরু করে মুসলিমরা।
আস্তে আস্তে এর সময় সীমা বাড়তে থাকে। এর পর শুরু হয় লাউড স্পিকার এর তান্ডব, আলাপ আলোচনা করে সুরাহা বের হয় নি। এবার পথে নামলেন হিন্দুরা।
সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির ছত্রছায়ায় শুরু হয় গণ আন্দোলন। যেখানে জোর করে মুসলিমরা নামাজ পড়ে , সেই স্থানেই হিন্দুরা শুরু করলো ” গোবর্ধন পূজো”।