ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে খতম করায় রাতারাতি ভিলেন থেকে হিরো তেলেঙ্গানা পুলিশ। উল্লেখ্য, আজ ভোর রাতে সাইবারাবাদে তেলেঙ্গানা পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ৪ ধর্ষণকারীর। এই ‘বিচারে’ খুশি অনেকেই। টুইটার ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় তেলেঙ্গানা পুলিশের পক্ষেই প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অধিকাংশের মতে এনকাউন্টার নিয়ে কিছু প্রশ্ন থাকলেও পুলিশ যা করছে তাতে ন্যায় বিচার পেয়েছে হায়দরাবাদের পুশু চিকিৎসক তরুণী। এদিকে যে অঞ্চলে আজ এনকাউন্টার হয় সেখানে তো বটেই এমনকী খোদ হায়দরাবাদ শহরেও পুলিশকে অভিনন্দন জানাতে রাস্তায় নামলেন মানুষ। তেলেঙ্গানা পুলিশের নামে তাদের জয়ধ্বনী দিতে দেখা গেল।
কিছু ‘শুভেচ্ছা ভিডিয়ো’ও প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হায়দরাবাদের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কর্মরত পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের দেখা মাত্র চলন্ত বাস থাকা একদল ছাত্রী উচ্ছ্বাসে চেঁচিয়ে উঠে অভিনন্দন জানালেন। অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় যেখানে এনকাউন্টার করা হয়েছে ৪ অভিযুক্তকে সেখানেই ডিসিপি এবং এসিপিকে অভিনন্দন জানিয়ে সমবেত জনতার স্লোগান। অন্যদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মৃতার প্রতিবেশীদের মধ্যে মিষ্টি বিলি হয় এদিন।
সবমিলিয়ে নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যেমন রাজ্য তথা দেশের চোখে ভিলেন হয়ে উঠেছিল তেলেঙ্গানা পুলিশ, আজকের এনকাউন্টারে তারাই রীতিমতো হিরো। সাইবারাবাদের ডিএসপির ‘বীরত্ব’ নিয়ে খবর করতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে!