সরকারি স্কুলকে না বাঁচালে কিন্তু ৯০% বাঙালী শেষ হয়ে যাবে … বিশেষ করে হিন্দু বাঙালী

প্রথমে সবাইকে অনুরোধ করি মানব গুহর এই লিংক সবাইকে শেয়ার করুন l যারা রাজ্য, দেশ ছেড়ে চলে গেছে, তারা জানুক, তাঁদের মাতৃভূমি আজ কোন শৃঙ্খলে আটকে আছে l কাল এই দুর্ঘটনার পর যখন পুলিশ ছাত্রছাত্রী অভিভাবকদের উপর টিয়ার গ্যাস ছুড়ে মারছিলো, আমি তখন এবিপি আনন্দে ষ্টুডিওতে বসে সেটা এবং অন্যান্য ভিডিও দেখছিলাম l আজ থেকে চার দশক আগে পুলিশের ক্ষমতা ছিল ছাত্রছাত্রীদের গ্যাস ছোড়া? পাশের বিড়লা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মারতে পারবে? আজ থেকে চার দশক আগে সরকারি ক্লাস ওয়ান আধিকারিকরা ছেলেমেয়েদের বাংলা স্কুলে পড়াত l শুধু রামকৃষ্ণমিশন, হিন্দু হেয়ার না, সাধারণ অনামী স্কুলেও পড়াতো l কিন্তু কমরেডরা বাদে l তারা ১৯৭৭ এই জেনে গিয়েছেন যে তারা এই সিস্টেম তুলে দিতে চলেছেন l (তাই, আজকের সিপিএম নেতাদের একটা বড় অংশ সাউথ পয়েন্ট থেকে পাশ এবং পরে ফেল ) l সেই সময় যেহেতু ক্ষমতাবান লোকজনের ছেলেমেয়েরা সরকারি স্কুলে পড়তো, পুলিশের সেই ক্ষমতা ছিল না l

আজ ক্লাস ৪ স্টাফও সরকারি স্কুলে পাঠায় না l ১৯৮২ তে ইংরেজী তুলে দেবার মূল উদ্দেশ্য ছিল, যে সব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, তাঁদের একটা ব্যাবসার ব্যাবস্থা করে দেয়া l সরকারি হাসপাতালেও সেই সময় বহু উচ্চপদস্থ (সৎ ) আধিকারিকরা যেতেন l এই সিস্টেমও তুলে দেবার কারন একই l এই ব্যাপারটা বোঝা দরকার আমাদের সবার l

১৯৬৬ তে ইন্দিরা গান্ধী জাতীয়করণ শুরু করলে, ব্রিটিশ ব্যাবসা কিছু ইন্দিরা গান্ধীর স্নেহধন্য ব্যাবসায়ীর হাতে চলে যায় l কিন্তু তারা ব্যর্থ হন এবং পুরো দোষ চাপিয়ে দেয় শ্রমিকদের উপর l আশির দশকে লুট করার জন্য থেকে যায় শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য l তৃতীয় এবং চতুর্থ পে কমিশনে যে টাকা বাঙালী পায়, তার অধিকাংশ চলে যায় বেসরকারি স্কুল, হাসপাতাল এবং চতুর্থ শ্রেণীর ইঞ্জিনিয়ার /ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে l বহু রাজনৈতিক নেতাও পরে এই ধরনের মুদি দোকান খুলে বসে কালো টাকায় l

তৃণমূল সরকার আসার পর এই পতন আরও ত্বরান্বিত হয় এবং আজ ধংস l আমাদের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মহাশয়ের সঙ্গে দেখা দমদমে l উনি বলছেন আমাদের স্কুল চালায় একজন কর্পোরেশনের কাউন্সিলর যিনি প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের প্রধান ছিলেন l স্কুলে ছাত্র আসা দূরের কথা শিক্ষক আসছে না l অনেকেই নাকি বদলির চেষ্টা করেছেন l কিন্তু স্কুল কমিটি এবং প্রধান শিক্ষকের অত্যাচারের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে বদলে কেউ আসতে চাইছে না l

এতকিছুর পরেও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ICSE /CBSE র দশ গুন l হ্যা l দশ গুন l কারণ অধিকাংশ মানুষই গরীব l যদিও নীতি আয়োগে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ নাকি দারিদ্র দূরীকরণে গুজরাটকে ছড়িয়ে গেছে l আগামীদিনে, সরকারি স্কুলকে না বাঁচালে কিন্তু ৯০% বাঙালী শেষ হয়ে যাবে l বিশেষ করে হিন্দু বাঙালী l তাঁদের কিন্তু আল আমিন মিশন প্রশিক্ষণ দেবে না, ওবিসি কোটা থেকেও তারা বাদ l

সুদীপ্ত গুহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.