রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে হবে, রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

কেবলমাত্র নিত্যনতুন গাইডলাইন ঘোষণা করলেই হবে না। সেই সমস্ত নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে কি না, সেদিকেও কড়া নজর রাখতে হবে। এই দায়িত্ব কেবল রাজ্যগুলির উপরই বর্তায় না। বরং এক্ষেত্রে হুঁশিয়ার হতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকেই। শুক্রবার ঠিক এই ভাষাতেই লাগামছাড়া করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করে নতুন আইন করার কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত রাজ্যগুলির উদ্দেশেও জানায়, তাদেরও রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে করোনাকে রুখতে পদক্ষেপ করতে হবে।

সদ্য কেটেছে উৎসবের মরশুম। আর সেটাই হয়েছে কাল। রাজ্যে রাজ্যে সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। কোথাও কোথাও তো সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউও চলছে। আর এই নিয়েই উদ্বিগ্ন শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, “দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নানা কারণে জমায়েত হয়েই চলেছে। প্রতিমা নিয়ে মিছিলও চলছে। অথচ দেশের অধিকাংশ নাগরিকই কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরছেন না। আবার পরলেও গড়িমসি করে পরছেন। অনেকেই মাস্ক বেশির ভাগ সময়েই মুখের নিচে নামিয়ে রাখছেন। এ সবের জেরে পরিস্থিতি আরও বেশি প্রতিকূল হয়ে পড়ছে। আইন করেই এই অব্যবস্থা ঠেকাতে হবে। কিন্তু শুধু আইন প্রণয়ন করে বা নির্দেশিকা জারি করলেই চলবে না। বরং তা ঠিকভাবে বলবৎ করা হচ্ছে কি না, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।”

এদিন কেন্দ্রের প্রতি শুধু মৌখিক এই বার্তা জারি করেই ক্ষান্ত হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বরং এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী ব্যবস্থা নিল, আগামী মঙ্গলবার তার বিস্তারিত রিপোর্টও দিতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে এদিন সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে যে দেশের করোনা সংক্রমণের ৭৭ শতাংশই বহন করেছে ১০টি রাজ্য। এই সব রাজ্যে দৈনিক বিপুল হারে বাড়ছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। আর তারই জেরে হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের মোট সংক্রমণ। এই দশটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নামও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.