পূর্ব মেদিনীপুরে রহস্যমৃত্যুতে ছড়াল চাঞ্চল্য। এই মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধেই বেশ কয়েকবছর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল। উল্লেখ্য, তাঁর মৃত্যু বহু প্রশ্নই জাগিয়ে দিয়েছে। ২০১৫ সালে ৫ই জুলাই চণ্ডীপুরে এক সভায় গেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মাঝে এক ব্যক্তি ফটো তোলা নাম করে মঞ্চে উঠে অভিষেককে চড় মারেন। যদিও, পরে এই ঘটনার জন্য উক্ত ব্যক্তির মা-বাবা অভিষেকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিল।
মৃত ব্যক্তি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা, নাম দেবাশিস আচার্য। মৃত ব্যক্তির বন্ধুর সূত্রে জানা গেছে যে, তিনি ও তাঁর বন্ধু একসঙ্গে বুধবার সন্ধ্যাবেলায় একসঙ্গেই ছিলেন। এরপরে, হঠাৎই কারোর সঙ্গে কথা বলার নাম করে দেবাশিস আচার্য চলে যান। দেবাশিস এও বলেছিলেন যে, তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু, তিনি ফিরে আসেননি। জানা গেছে, দেবাশিসের বন্ধু কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বাড়ি চলে যান। এদিকে, সারারাত পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে যাননি দেবাশিস। এরপরে, খোঁজ শুরু করলে, বৃহস্পতিবার সকালে অবশেষে মৃতদেহ ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাপাটিয়া টোলপ্লাজা থেকে কিছুটা দূরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্নও দেখা গেছিল। তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি করে তম্লুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, “অনুমান করা হচ্ছে খুন করা হয়েছে। কে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে। আদৌ খুন কি না, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন”। উক্ত নেতা খুন প্রমাণ হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিও করলেন। এদিকে, দেবাশিসের পরিবার পাল্টা দাবি করেন যে, দেবাশিসের খুনের পিছনে তৃণমূলই দায়ী। আবার, পুলিশ এদিকে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসাবে পথ দুর্ঘটনাকেই দায়ী করেছেন। যদিও, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পুলিশের হাতে এসে পৌঁছায়নি।