বিজেপি ও এনডিএ যা বলে, তাই করে দেখায়। বুধবার বিহারের দারভাঙ্গায় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ”বিহারের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, ‘জঙ্গল রাজ’ যাঁরা নিয়ে আসে, বিহারকে লুট করে তাঁদের ফের হারাবেন।” বুধবার দারভাঙ্গার রাজ ময়দানে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন শুরুতেই বিহারের জনগণকে করোনার থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আজ বিহারে প্রথম দফার ভোট হচ্ছে। যেখানে যেখানে ভোটগ্রহণ হচ্ছে, সেখানকার সমস্ত মানুষজনের কাছে আমার অনুরোধ করোনার থেকে বাঁচার জন্য সমস্ত ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করুন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি এবং এনডিএ যা বলে, তাই করে এটাই বিজেপি ও এনডিএ-র পরিচয়। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরের অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে বিহারের। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম সমস্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাব। ইতিমধ্যেই প্রায় এক লক্ষ টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা পড়েছে। আমরা বলেছিলাম সমস্ত গরিবদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা হবে, এখন ৪০ কোটিরও বেশি গরিবের ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম সমস্ত গরিব মানুষকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা প্রদান করব, এখন বিহারের প্রতিটি গরিব মানুষ এই সুবিধা পাচ্ছেন। করোনা-পরিস্থিতিতে আমরা বলেছিলাম গরিবদের বিনামূল্যে আনাজ দেব, সেটাও আমরা করেছি।’
বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিহারের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, ‘জঙ্গল রাজ’ যাঁরা নিয়ে আসে, বিহারকে লুট করে তাঁদের ফের হারাবেন। এদের সরকারের অধীনেই রাজ্যে অপরাধ বেড়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে যাঁরা সরকারে ছিল তাঁদের মন্ত্র ছিল-পয়সা হজম, পরিযোজনা খতম। কমিশন শব্দের সঙ্গে তাঁদের এতটাই ভালোবাসা ছিল যে, কানেকটিভিটির উপর কখনও মনোনিবেশ করেননি। মিথিলাঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী কোসি মহাসেতুর সঙ্গে কী হয়েছিল, তা আপনারা সবাই ভালো করেই জানেন।
2020-10-29