অক্ষরধাম মন্দিরে জঙ্গি হামলার মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

দীর্ঘ ১৭ বছর পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার অক্ষরধাম মন্দিরে জঙ্গি হামলার মূল অভিযুক্ত। শুক্রবার কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে অনন্তনাগ থেকে আহমেদাবাদ নিয়ে যায় গুজরাট পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার একটি দল। শনিবার অভিযুক্ত মহম্মদ ইয়াসিন ভাটকে তুলে দেওয়া হবে গুজরাট পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে। তার বিরুদ্ধে হামলাকারীদের অস্ত্র-বোমা সরবারহের অভিযোগ রয়েছে।

জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই ইয়াসিনকে গ্রেফতারের জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। ২০০২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অক্ষরধাম মন্দিরে হামলা চালায় একটি জঙ্গি সংগঠন। নির্বিচারে গুলি চালায় তাদের ২ জঙ্গি। গুলিতে মৃত্যু হয় এক এনএসজি কামান্ডো সহ ৩০ জনের। আহতও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন।

পাকহামলার পরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চলে যায় ইয়াসিন। কাশ্মীরেরই বাসিন্দা ইয়াসিন। গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, এতদিনে ঘরে ফিরেছে সে। হামলার পর জুহাপুরার বাসিন্দা রিয়াদে পালিয়ে গিয়েছিলেন। বর্তমানে ঘরে ফিরে একটি কাঠের গোলায় কাজ করছে। এই তথ্য হাতে আসায়, গোপনে অভিযান চালিয়ে অবশেষে শুক্রবার অনন্তনাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করে গুজরাট এটিএস। এই অপারেশন চালায় ৩ এসিপি ও ২ পুলিস ইনস্পেক্টরের একটি টিম।

গুজরাট পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার পর্যন্ত এটিএসের হেফাজতেই থাকবে ইয়াসিন। ওই হামলায় ২০১৪ সালে ৬ জনকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করে আদালত। তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে ২০১৪ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাদের মুক্তি দেয়। এই মামলায় অস্ত্র সরবরাহের মূল মাথা ইয়াসিন। AK-47 থেকে অ্যাসল্ট রাইফেল সব কিছুই সরবরাহ করত ইয়াসিন বলে অভিযোগ। পক থেকে জম্মু কাশ্মীরে পৌঁছে দিত অস্ত্র।

দুজন সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী গান্ধীনগরের এই মন্দিরে অতর্কিতে হামলা চালায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্করে তৈবার হয়ে কাজ করত সে। গুজরাট এটিএস এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় ইয়াসিনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.