এবারে এই রাজ্যে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠল বাংলাদেশ থেকে। খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানের নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেইসঙ্গে তল্লাশি চালানো হয় দমদম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি বাড়িতে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা তোলা হয়, ৬০ টি ভুয়ো কোম্পানির নামে। এরপর সেই টাকা পাচার করা হয় এই রাজ্যে, হাওয়ালা রুটের মাধ্যমে।
শুক্রবার, অশোকনগরের তিনজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যে, একজন ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অশোকনগর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতী ক্লাব এলাকার বাসিন্দা সুকুমার মৃধা নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। জানা যায়, তিনি হলেন সেই ব্যবসায়ী যিনি ভুয়ো সংস্থার নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশের আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত অপরাধের তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ। এরপর তাদের মাধ্যমেই বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ করে ইডির সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, সুকুমার মৃধা নামে এই ব্যবসায়ী বেশ কয়েক বছর আগেই অশোকনগরে একটি বিলাসবহুল বাগানবাড়ি তৈরি করেছেন। যদিও, তার পরিবারের কেউই এখানে থাকেন না বলে জানা গেছে। পরিবারের লোকজন বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা বলেই খবর। সুকুমার মৃধা নামে ওই ব্যবসায়ীর নিকটবর্তী এলাকায় থাকেন আরও এক ব্যবসায়ী স্বপন মিত্র। ইডি তার বাড়িতেও তল্লাশি চালায়, সুকুমার মৃধাকে বাড়িতে না পাওয়ার কারণে। তল্লাশির পর আটক করা হয় স্বপন মিত্রকে। পাশাপাশি, তল্লাশি চালানো হয় প্রণব হালদার নামে আরও এক ব্যক্তির বাড়িতে। প্রণব হালদারের বাড়ি অশোকনগরের বিল্ডিং মোড় এলাকায়।
2022-05-14