এই ঘটনার খানিকটা রহস্যের সঙ্গে হয়তো মিল পাওয়া যাবে কর্ণাটকের ‘না লে বা’ কাহিনির। যে কাহিনিতে কথিত ছিল যে, কর্ণাটকের একটি গ্রামে এক অভিশাপের জেরে গ্রামের পুরুষদের খুন করতে আসত এক অশরীরি ‘স্ত্রী’। বলা হয়, ঘটনা উস্কে দিয়েছিল বলিউডের ‘স্ত্রী’ ফিল্মের মূল চিত্রনাট্যকে। এবার আসা যাক উত্তর প্রদেশের বিজৌ গ্রামের এক কাহিনিতে। এই গ্রামে গত ২০০ বছর ধরে রয়েছে এক অভিশাপ। যার জেরে প্রতি করবা চৌথের পূর্ণিমার রাতে কাটে এক আতঙ্কের প্রহর।

সে প্রায় ২০০ বছর আগের ঘটনা। যখন উত্তর প্রদেশের বিজৌ গ্রামে এক ব্রাহ্মণকে পিটিয়ে খুন করা হয় করবা চৌথের দিন। আর ঠিক সেই দিনই সজল নয়নে তাঁর স্ত্রী অভিশাপ দেন এই গ্রামে করবা চৌথের দিন কোনও মহিলা যদি উপবাস করেন ,তাহলে তাঁদের স্বামীর মৃত্যু হবে।

এই অভিশাপের পর থেকেই সেই গ্রামে কোনও মতেই কোনও মহিলা করবা চৌখের উপবাস পালন করেন না। আর সেই ২০০ বছর আগে থেকে পালিত হচ্ছে এই রীতি। তরে এলাকার সতী মন্দিরে পুজো পালিত হয়। এমনকি এলাকার পুরুষরাও বিয়ের আগে এই সতী মন্দিরে পুজো দেন।
শোনা যায়, করবা চৌথের দিন ওই ব্রাহ্মণ ও তার স্ত্রী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকাই এলাকার কিছু মানুষ ব্রাহ্মণকে চোর সন্দেহে তাঁর স্ত্রীয়ের সামনেই খুন করে। এরপরই উঠে আসে এই অভিশাপের তত্ত্ব।