ই-কমার্স (E commerce Companies) কোম্পানি গুলি আর্থিক মন্দার (Global Slowdown) মধ্যে মাত্র ছয় দিনে রেকর্ড ৩০০ কোটি ডলারের সামগ্রী বিক্রি করেছে। কনসাল্টিং ফার্ম রেডসির (Consulting firm RedSeer) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। যদিও, প্রথমে কয়েকটি কোম্পানি এই বছরে ৩৭০ থেকে ৩৮০ কোটি ডলারের (প্রায় ২৭ হাজার কোটি) বিক্রির অনুমান লাগিয়েছিল। কনসাল্টিং ফার্ম এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বে চলা আর্থিক মন্দার পরেও ফেস্টিভ সেলের প্রথম ভাগে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের বিক্রির রেকর্ড দায়ের হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এই উৎসবের মরশুমে সবথেকে বেশি সেল ফ্লিপকার্ট করেছে। ফ্লিপকার্টের মার্কেট শেয়ার ৬০ শতাংশেরও বেশি। আরেকদিকে অ্যামাজনের অংশীদারি ৩০ শতাংশের মতো ছিল। বিশেষজ্ঞরা জানান, উৎসবের মরশুমে ফ্লিপকার্টের বিক্রি গত বছরের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর অ্যামাজনের বিক্রি ২২ শতাংশ বেড়েছে। যদিও অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ এর রিপোর্ট খারিজ করেছে।

অ্যামাজনের তরফ থেকে জারি বয়ানে বলা হয়েছে যে, আমরা এই রিপোর্ট নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইনা। গত সপ্তাহে ফ্লিপকার্ট আর অ্যামাজন ভারতের ই-কমার্স সেক্টরে সবার আগে থাকার দাবি করেছিল। তাঁরা বলেছিল, ছোট শহরে গ্রাহকদের সংখ্যা বাড়ার ফলে তাঁদের ব্যাবসা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়া ক্যাটাগরিতে ছিল স্মার্টফোন। উৎসবের মরশুমে স্মার্টফোনের দাম ১৫-১৮ শতাংশ বেড়েছে। চীনের কোম্পানি শাওমি আর রিয়েলমি কমদামের মধ্যে সবথেকে ভালো ফিচার্স যুক্ত স্মার্টফোন ছিল। আর সেই কারণে এই উৎসবের মরশুমে এই দুই কোম্পানির স্মার্টফোন সর্বাধিক বিক্রি হয়েছে। আরেকদিকে রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ভারত সমেত গোটা বিশ্বকে আর্থিক মন্দা চলার পরেও, শুধুমাত্র ছয়দিনে ২১ হাজার কোটি টাকার অনলাইন শপিং হয়েছে।