National Cyber Security: ফোন করে ব্যাঙ্কের টাকা লোপাট বাড়ছে, অভিযোগ নিতে কেন্দ্রের পোর্টাল, নয়া ফোন নম্বর

জামতাড়া গ্যাং-এর উৎপাত বেড়েই চলেছে। ভিন্‌রাজ্য থেকে আসা অচেনা নম্বরের ফোন কখনও মোবাইলের সিম আপডেট করতে বলছে, কখনও ব্যাঙ্কের নাম করে কেওয়াইসি তথ্য চাইছে। আবার নানা প্রলোভনের ফাঁদেও ফেলছে দুষ্কৃতীরা। আর যে ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই মুহূর্তের মধ্যে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। এই রাজ্য়ে তো বটেই গোটা দেশেই এই দুষ্কৃতীচক্র দিন দিন সক্রিয় হচ্ছে। প্রতিদিন অজস্র অভিযোগ জমা পড়ছে রাজ্যে রাজ্যে। সেই সব রিপোর্টকে কেন্দ্রিভূত করতে ২০১৯ সালেই উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে তৈরি হয় ‘দ্য ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল’। এ বার সেই পোর্টালকে আরও কার্যকরী করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অমিত শাহর দফতর সাধারণ মানুষের ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে পাঠিয়ে সতর্ক করছে।

আগে এই পোর্টালে অভিযোগ নথিবদ্ধ করার পাশাপাশি ফোনও করা যায়। আগে টোল ফ্রি ১৫৫২৬০ নম্বরে ফোন করে জানাতে হত অভিযোগ। এখন সেই নম্বরটির বদল হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ১৯৩০ নম্বরে দিন বা রাতের যে কোনও সময় ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। আবার কেউ রাজ্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে চাইলে প্রতিটি রাজ্যের সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তার নাম ও যোগাযোগের নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ব্যাঙ্কের টাকা লোপাট হলেই শুধু নয়, অন্যান্য যে কোনও রকম সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের এই পোর্টালে অভিযোগ জানানো যায়। মহিলা, ও শিশুদের বিরুদ্ধে কোনও দুষ্কর্মের ক্ষেত্রেও অভিযোগ জানানোর ঠিকানা এই পোর্টাল। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চাইছে, আর্থিক গোলমালের ক্ষেত্রে এই পোর্টালে যাতে মানুষ অবশ্যই অভিযোগ নথিবদ্ধ করেন। কারণ, এখানে অভিযোগ জানালে তদন্তের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এমন কী রিজার্ভ ব্যাঙ্কও অংশ নিতে পারে।

শুধু সমস্যা হলে সমাধান নয়, যাতে কেউ প্রতারকদের ফাঁদে না পরেন তার জন্যও প্রচার চালানো হয় এই পোর্টালের মাধ্যমে। সেখানে বলা রয়েছে সতর্ক থাকার জন্য কী কী নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি থেকে ব্যাক্তিগত তথ্য গোপন রাখার পাশাপাশি অচেনা ব্যক্তিকে সহজে বিশ্বাস করা ঠিক নয় বলেও জানানো হয়েছে কেন্দ্রের ওই পোর্টালে। একইসঙ্গে সতর্ক করে বলা হয়েছে, নির্ভরযোগ্য নয় এমন মোবাইল অ্যাপ এড়িয়ে যেতে হবে। বলা হয়েছে, কেউ কোনও প্রলোভন দেখালেই তা বিশ্বাস করাটাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সুবিধা করে দিচ্ছে প্রতারকদের। দাবি করা হয়েছে, সাধারণের সচেতনতার অভাবই প্রতারকদের কাছে অস্ত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.