হিন্দু সমাজের জন্য সুখবর: বহু দলিত কর্মের ভিত্তিতে হচ্ছেন ব্রাহ্মণ! জাতি জন্মের ভিত্তিতে নয়, কর্মের ভিত্তিতে হয়।

ভারতীয় গ্রন্থগুলিতে বিদেশী শক্তি ও দেশী লোভী ব্যাক্তিরা অনেক ভেজাল ঢুকিয়ে দিয়েছে। যার সাহায্যে তারা হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে বহু ভুল ধারণা ছড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বড় ভ্রান্তি হলো কারোর জাতি তার জন্ম থেকে হয়। একইসাথে উঁচু জাতি, নীচু জাতির ধারনাও একেবারে অর্থহীন। যদিও আসলে জাতি জন্ম নয় কর্মের উপর নির্ভর করে। যদি চিকিৎসকের ছেলে মেয়ে চিকিৎসার পড়াশোনা না করে তবে সে ডক্টর হবে না। সেইভাবে মা বাবার সন্তান বলে তার জাতি মা বাবার মতো হবে না। জাতি আপনার কর্মের ভিত্তিতে হয়। রামায়ণের রচয়িতা একজন ব্রাহ্মণ ছিলেন কিন্তু তার পিতা শুদ্র ছিলেন। এগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে, জাতি জন্মের ভিত্তিতে নয় কর্মের ভিত্তিতে হয়।

যেমন কোনো ব্যক্তি সেনাতে কাজ করলে তার জাতি ক্ষত্রিয় হয়ে যায়। যদি কেউ ধার্মিক কাজ করে তবে যে ব্রাহ্মণ হয়ে যাবে। যদি কেউ ব্যাবসার কাজ করে বৈশ্য হবে আর সেবার কাজ করলে শুদ্র হবে। পদবী শব্দের অর্থৎ পদ থেকে এসেছে। আপনার পদ অনুযায়ী পদবী হবে। নরেনের পিতা বোস, ঘোষ, ব্যানার্জী, মুখার্জী যাইহোক না কেন, নরেনের পদবী নির্ভর করা উচিত তার কর্মের উপর। আর ভারতীয় সমাজে এটাই ছিল। বর্তমানে সেটাকে অন্য রূপ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ হিন্দু জাতি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে।

এখন অগ্নিবীর নামের এক হিন্দু সংগঠন পুনরায় হিন্দু জাতিকে মজবুত করার প্রচেষ্টায় নেমেছে। হিন্দু ধর্মের মূল ব্যবস্থা অনুসারে, এখন অনেক দলিত ব্রাহ্মণ হয়ে উঠেছেন। অগ্নিবীর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জীব নাভার এমন লোকদের সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন যারা একটি দলিত বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তবে এখন তারা ব্রাহ্মণ। কিছু দলিত পরিবারে জন্মানো লোক এখন ধার্মিক কাজ করে। অর্থৎ তাদের কর্ম পেশা অনুযায়ী তারা এখন ব্রাহ্মনে পরিণত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.