পূর্ব অংশ বিশ্বেশ্বরায় নরকার্ণব তারণায় কণামৃতায় শশিশেখরধারণায় | কর্পূরকান্তিধবলায় জটাধরায় দারিদ্র্য দুঃখদহনায নমঃ শিবায় || গৌরীপ্রিযায় রজনীশকলাধরায় কালান্তকায ভুজগাধিপকঙ্কণায় | গংগাধরায গজরাজবিমর্দনায দারিদ্র্য দুঃখদহনায় নমঃ শিবায় || ভক্তিপ্রিয়য় ভবরোগভযাপহায় উগ্রায় দুর্গভবসাগরতারণায় | জ্যোতির্ময়ায় গুণনামসুনৃত্যকায় দারিদ্র্য দুঃখদহনায় নমঃ শিবায় || শিব মন্ত্র উচ্চারিত হচ্ছে। এ মন্ত্র প্রত্যহ উচ্চারণে দুঃখ বিনাশ হয়।Read More →

জয়ন্তী এবার বললেন নিজের পরিচয়, “আমি ইন্দ্রের কন্যা জয়ন্তী। জয়ন্তের কনিষ্ঠা ভগিনী ।আমি আপনাকে ভালোবাসি আচার্য ।আমি আপনার সঙ্গে সহধর্মিনী হতে চাই। আপনার সঙ্গে ধর্মের নিয়ম বিধি অনুসারে মেনে সংসারে মিলিত হতে চাই।” বনকন্যা দেবযানী। বয়ঃবৃদ্ধির সঙ্গে তাঁর যদিও লজ্জা , সংযম ইত্যাদি লুপ্ত থেকে বিলুপ্ত হয়ে স্বভাব পাহাড়ি ঝর্ণার মত উচ্ছল, চঞ্চল, প্রজাপতির মত রঙিন , বিহঙ্গের মত মুক্ত হয়ে উঠেছিল। তপ্ত তাম্রবর্ণা অথবা রক্ত পদ্ম রঙ, দীর্ঘ আঁখি যুগল, দেবীর ন্যায় মুখমন্ডলী প্রাপ্ত, দেব মাতা অসুর পিতার কন্যা দেবযানীর হাঁসি পাখীর কলতানের ন্যায় অরন্যকে মুখরিত করে তুলত। তাঁর কলকল কথার শব্দ হাজার পাখির গুঞ্জনের মত মধুর অথচ আনন্দ পূর্ন ছিল। Read More →

বহু বছর পর শুক্রাচার্য তপস্যা শেষ করলেন। সন্তুষ্টহয়ে’ মহাদেব তাকে বললেন , “তুমি যে তপস্যা করেছ ,তা আর অন্য কেউ পারবেনা । আমি আশীর্বাদ করছি আমি যে নিগূঢ় মন্ত্র জানি, তার সমস্ত রহস্য তুমি ছাড়া আর কোন দিন কারো কাছে প্রতিভাত হবে না। এ মন্ত্র শক্তি এবং তোমার প্রতিভার তেজে তুমি জয়ী হবে।” মহাদেব শুক্রাচার্য্যকে মন্ত্র যে দান করেছিলেন তাই ছিল সঞ্জীবনী মন্ত্র। অসুরদের বাঁচিয়ে তুলতে পারবেন শুক্রাচার্য সেই মন্ত্র দ্বারা। আর এই মন্ত্রেরর জন্যই আমি বৃহস্পতি পুত্র শুক্রাচার্যের আশ্রমে এসেছি। বাস করেছি অসুরদের মাঝে বিপদ সংকুল হয়ে…..Read More →

শিকাগো শহরে পয়লা মে শ্রমিক ধর্মঘট আজ বিশ্ব ইতিহাসের পাতা থেকে স্কুলপাঠ্যে যেমন ঠাঁই পেয়েছে, তেমনই বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসের প্রেক্ষিতেও দিনটার অন্য তাৎপর্য আছে। এ দিনেই উত্তর কলকাতায় রামকৃষ্ণ-পার্যদ বলরাম বসুর বাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দ পরমহংসদেবের চিন্তা, উপদেশ ও আদর্শ প্রসারের আন্দোলন নামে এক সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অদ্ভুত সমাপতন! বিবেকানন্দRead More →

২০০২ সাল, কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছি। লোকসংস্কৃতির একজন অধ্যাপক ক্লাস নিচ্ছেন; বিষয়ে প্রবেশ করার আগে অধ্যাপক সভার কাছে জানতে চাইছেন বাঙ্গলার সর্বাপেক্ষা অধিক পূজিত ও মান্য পুরুষ-দেবতার নাম কী এবং নারী-দেবতার নামই বা কী? বললাম, আপাতত উত্তরটুকু হচ্ছে পুরুষ-দেবতা শিব এবং নারী- দেবতা মনসা। অধ্যাপকRead More →

চূর্ণা নামে নদী। তীরবর্তী কালসা নামে গ্রাম। জেলা এর্ণাকুলম। ত্রিচুরের বৃষাচলমের শিবালয়ে ‘ভজনম্’ করলেন সতী সাধ্বী আর্যাম্মা, সঙ্গে তাঁর স্বামী শিবগুরু। দেখা দিলেন স্বয়ং মহাদেব। বললেন, একটা ক্ষীণজীবী প্রতিভাধর সন্তান চাই?না দীর্ঘজীবী মূর্খ বহু সন্তান চাই? আর্যাম্মা বললেন, একটি সন্তানই হোক — সে যেন মেধাবী হয়। মহাদেব স্বয়ং জন্ম নেবেনRead More →

কল্পান্তরে সৃষ্টি তখন ধ্বংস হয়ে গেছে। চরাচরে কেবলই জল আর জল। তার বুকে হাওয়া সৃষ্টি করে বুদ্বুদ, তাও একসময় মিলিয়ে যায় জলেই। একা একা আর তার ভালো লাগে না। এ তো গেল আকারের কথা। জল যাঁকে দেখতে পাচ্ছিল না, সেই নিরাকার ব্রহ্মরূপে ব্যাপ্ত বিষ্ণু জলের একাকীত্বের ব্যথা বুঝলেন। অনন্ত জলমালারRead More →

শিব ঠাকুরের চোখে জল” রায়গঞ্জে এমনই এক অস্বাভাবিক ঘটনাকে ঘিরে ধর্মীয় উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। শিব ঠাকুরের চোখের জল দেখতে হাজার হাজার শিব ভক্তের ভীড়ে উপচে পড়েছে রায়গঞ্জ শহরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন দোস্তিমোড় এলাকার একটি শিব মন্দিরে। মানুষের ভীড়ে রায়গঞ্জ শহরের দোস্তিমোড়ে জাতীয় সড়কে যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছেRead More →

তথাকথিত দলিত নেতা জিগ্নেশ মেওয়ানি দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে মনুস্মৃতি ও ভারতীয় সংবিধানের মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিতে বলেছেন। আমি এব্যাপারে ১০০ শতাংশ যে উনি ও ওনার মতো লোকেরা কোনোদিনই মনুস্মৃতি পড়ে দেখেননি। বিনা কারণে শুধু চিৎকার করতেই এরা দক্ষ। আমি জিগ্নেশ মেওয়ানিকে চ্যালেঞ্জ করছি এই প্রবন্ধটি পড়ার জন্য এবংRead More →

মহাবীর ৫৯৯ থেকে ৫২৭ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত ছিলেন জৈনধর্মের চতুর্বিংশতিতম তথা সর্বশেষ তীর্থঙ্কর। বর্তমানে প্রচলিত জৈন মতবাদের প্রবর্তক তিনিই। বর্ধমান নামেই তিনি পরিচিত। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে তিনি বীর, বীরপ্রভু, সম্মতি, অতিবীর ও জ্ঞাতপুত্র নামে পরিচিত। বৌদ্ধপালি ধর্মগ্রন্থগুলোতে তাঁকে নিগণ্ঠ নাতপুত্ত নামে অভিহিত করা হয়েছে। মহাবীর (আনুমানিক ৫৯৯-৫২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)  জৈনধর্ম ও দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনিRead More →