বেশ কয়েক বছর থেকে যে শব্দবন্ধটি সংবাদমাধ্যমে সব থেকে বেশি আলোচিত হচ্ছে তা হলো হিন্দুত্ব। দেশের যে কোনো প্রান্তের কোনো ঘটনাকে হিন্দুত্বের আতসকাচে ফেলে তার বিশ্লেষণ শুরু হয়। এদেশের সংবাদমাধ্যমের কাছেও নিশ্চয় কোনো পদ্ধতি অথবা মাপকাঠি আছে যেখানে হিন্দুত্বের পরিমাপ করা যায়। কিছু মুখরোচক শব্দ সৃষ্টি করে হিন্দুদের চেতনাকে ঢেকেRead More →

প্রত্যেক হিন্দু পরিবারেই প্রায় পুজোর রীতি আছে। ঠাকুর ঘরে হোক কিংবা মন্দিরে। দেবতার পুজোর প্রধান উপকরণ হল ফুল। তবে প্রত্যেক দেবতার জন্য বরাদ্দ থাকা উচিৎ আলাদা আলাদা ফুল। কারণ সব দেবতা সব ফুলে সন্তুষ্ট হন না। প্রাচীন পুঁথিতে উল্লেখ রয়েছে, আমাদের মতই দেব-দেবীদেরও পছন্দের খাবার, দিন, রঙ ও পছন্দের ফুলRead More →

ভারতীয় সাহিত্যিকদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ রামায়ণের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বললে অত্যুক্তি হবে না। তিনিই রামায়ণের সেরা ভাষ্যকার, কারণ তিনি রামায়ণের কাহিনীতে জারিত হয়েছিলেন এবং আত্তীকরণ করে তা সুপাচ্য সাহিত্য-ব্যঞ্জনে পরিবেশন করেছিলেন। তিনি সংস্কৃত রামায়ণ পড়লেও, রামায়ণ সংক্রান্ত তাঁর সমূহ-ভাষ্য এবং সাহিত্য ও সমাজ সমীক্ষার মূল ভিত্তি ছিল কৃত্তিবাসী রামায়ণ, যাকে নিয়ে আজওRead More →

ঈশ্বর বলতে তিনি বুঝেছিলেন এক অদ্বিতীয় নির্বিশেষ ব্রহ্মকে। যে ব্রহ্ম তাঁর দৃষ্টিতে ছিল অবিনাশী, অনির্দেশ্য, সর্ব ইন্দ্রিয়ের অগম্য। তিনি অর্থাৎ সনাতন হিন্দুধর্মের পুনর্জাগরণের পুরোধা পুরুষ শিবাবতার শঙ্করাচার্য। পরব্রহ্মে শক্তির অস্তিত্ব তাঁর কাছে ছিল অলীক কল্পনা। কারণ শ্রুতির কথায় – যে ব্যক্তি ব্রহ্মে বহুত্বের অভাব থাকলেও বহুত্ব দর্শন করে ; সেRead More →

ভারতবর্ষের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পূর্ণভাবে ধর্ম নিষিক্ত। তার সনাতন ইতিহাস আধ্যাত্মিক ফল্গুধারার স্রোত। কার্যত অধ্যাত্মবাদ ও ধর্মই ভারতের আদি ও চিরন্তন নিয়ন্ত্রক। প্রাত্যহিক ক্রিয়া, আনুষ্ঠানিক আচার আচরণ, ধ্যানধারণা সংস্কৃতি, জন্মের পূর্ব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ভারতীয় জীবন ধারায় অধ্যাত্মবাদ তথা ধর্মের অপরিসীম প্রভাব লক্ষণীয়। ১২০০ বছর আগে আদি শঙ্করাচার্যের আবির্ভাব সনাতনRead More →

বৈদিকযুগ বা তার পরবর্তী সময় থেকেই ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় চার বর্ণের উল্লেখ পাওয়া যায়৷ যার মধ্যে একটি হল ‘ব্রাহ্মণ’৷ প্রাচীনকালে কর্ম অনুসারে এই বর্ণের বিভাগ করা হত৷ পরে বংশানুক্রমিক বর্ণপ্রথার উদ্ভব হয়৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই বদল এসেছে সমাজ ব্যবস্থায়৷ এখনকার হিন্দু সমাজে ব্রাহ্মণদের প্রোয়জনীয়তা কিংবা দায়িত্ব কী? তা নিয়েRead More →

পূর্ব অংশ গোধূলির আবিরে রাঙা অস্তায়মান লাল সূর্য। দিনের শেষে থেমে আসে চারপাশের কোলাহল। প্রকৃতিতে নেমে আসে অন্যরকম এক নিস্তব্ধতা। পশু-পাখি নীড়ে ফিরে যেতে থাকে। চরাচরে সর্বএই বিরাজ করছে এক অনৈসর্গিক নীরবতা। সূর্যের রক্তিম আলোর ছটায় প্রকৃতি যেন অনরকম রঙে নিজেকে সাজায়। কিন্তু আজকের সূর্য , আজকের বিকাল কেমন বিষন্ন।Read More →

হিন্দুদের আচারব্রতে আছে বারো মাসে অজস্র ব্রতের মাহাত্ম্য কথা। তারই একটি হল, অক্ষয় তৃতীয়া ব্রত, যা পালিত হয় বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে। এই ব্রতে আছে এক কিপ্টে বামুন ও তার স্ত্রীর অক্ষয় পুণ্যলাভের গল্প। যে গল্পে, এক ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত পথিক কিপ্টে বামুনের বাড়িতে এসে জল ও খাবার চাওয়ায়Read More →

আজ চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লাতৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। ০১. আজকের এই শুভদিনেই জন্ম নিয়েছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ট অবতার পরশুরাম।  ০২. বেদব্যাস ও গণেশ আজ থেকেই মহাভারত রচনা আরম্ভ করেন। ০৩. আজ থেকেই পুরীধামে শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথ নির্মাণ শুরু হয়। ০৪. কেদার-বদ্রী-গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রীর যে মন্দির ছয়মাস বন্ধ থাকে আজকেই তারRead More →

আজ মঙ্গলবার শুভ অক্ষয় তৃতীয়া। মহাভারতের রচনাকাজ শুরু হয়েছিল এই অক্ষয় লগ্নেই। আজকের দিনে হিন্দু ধর্মমতে বেশ কিছু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। আসুন জেনে নিই— •এদিনই বেদব্যাস ও গণেশ শুরু করেন মহাভারতের রচনাকাজ।• রাজা ভগীরথ গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে আসেন।•মহাদেব আজকের দিনেই কুবেরের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে বিপুল ধন দান করেন।Read More →