খ্রিস্টপূর্ব ৪৯ শতাব্দীতে পরবর্তীকালের রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার তৎকালীন রোমান কেষ্টবিষ্টুদের বাধা অগ্রাহ্য করে এমন একটি অঞ্চলে ঢুকেছিলেন যে অঞ্চল প্রায় নিষিদ্ধই ছিল বলা যায়। সামরিকভাবে একটি রেখা টানা ছিল যে এরপর আর এগোলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী। সিজার বলেছিলেন আমার এই সীমান্তরেখা পেরোনো নির্ধারিত হয়েই আছে। এই বিপদসঙ্কুল হিংস্ৰ জনজাতি-অধ্যুষিত অধুনাRead More →

ভারতে নানা ধর্ম, ধর্মাচরণের বিবিধ পদ্ধতি, ভাষা ও সংস্কৃতিগত বিভিন্নতা সত্ত্বেও পরস্পরের মধ্যে যে সহমর্মিতা ও সহিষ্ণুতার ভাব দেখা যায়, তার প্রেক্ষাপটে রয়েছে সনাতন ধর্মের শিক্ষা। ভারতবাসী বিশ্বাস করে ঈশ্বর আস্তিক-নাস্তিক, জ্ঞানী-মূর্খ সকলের হৃদয়ে বিরাজমান রয়েছেন। এই অনুভব থেকেই এসেছে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের কথা—যা স্বামী বিবেকানন্দ গর্বের সাথে বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়েছেন।Read More →

পুলওয়ামার সন্ত্রাসবাদের ঘটনার পর খুব দ্রুতই পটপরিবর্তন হয়ে চলেছে। সি আর পি এফ কর্তারা একাশিটা বাসের এক কনভয়ে প্রায় আড়াই হাজার জওয়ানকে জম্মু থেকে শ্রীনগর পাঠাচ্ছিলেন। যদিও রাস্তাটা জাতীয় প্রধান সড়ক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ও ওই রাস্তায় সব সময় চলাচল করেছে, কিন্তু কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের কথা মাথায় রাখেনি। বিশেষ করে পুলওয়ামাRead More →

সূচনা বাংলাদেশি মুসলমানদের ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে পশ্চিম বাংলায় মুসলমান জনসংখ্যার অনুপাত ইতিমধ্যেই বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গেছে। তদুপরি, সম্প্রতি অসাম সরকার কর্তৃক NRC (National Register of Citizens) প্রকাশের প্রতিবাদে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার ছেড়েছেন : পূর্ব পাকিস্তান ও তার বাঙ্গালি সংস্করণ বাংলাদেশ থেকে আসা লক্ষ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী মুসলমানের বিরুদ্ধে অসম সরকারRead More →

বেজায় হট্টগোল শুরু হয়েছে। যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই! যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই! খুব সুন্দর সুন্দর কথা, চকোলেট চকোলেট গন্ধ তাতে। নেশা ধরে যায়। শুনতে শুনতে একটা কথা মনে পড়ে গেল। আমার এক পূর্বজ, পার্টিশনের পর পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন। কোনো এক প্রসঙ্গে হঠাৎ ক্ষেপে উঠে বলেছিলেন, “ভালো ভালোRead More →

প্রথা অনুসারে আইন প্রণয়নই ভারতের সংসদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যারা এই কাজ অতিবাহিত করেন তারা হচ্ছেন দেশের আইন প্রণেতা অর্থাৎ সাংসদ। ভারতের সংবিধানের ২৪৫ ও ২৪৬ নম্বর অনুচ্ছেদ মতে সংসদ সমগ্র ভারতে অথবা দেশের বিশেষ কোন অঞ্চলের জন্য আইন প্রণয়ন করতে পারে। সংবিধানের সপ্তম তফসিলে আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে তিনটিRead More →

স্বাধীনতার সূচনা সময়ে ভারতে ছিল নির্মম দারিদ্র, অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক নানান সামাজিক সূচক ও প্রাথমিক পরিকাঠামোহীন একটি দেশ। স্বাধীনোত্তর কর্মকাণ্ডের শুরুতে দেশ সমাজবাদী অর্থনীতিকেই দেশ চালনার মডেল হিসেবে বেছে নেয়। এরই অঙ্গাঙ্গী ছিল লাইসেন্স পারমিট রাজ, সরকারি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিতরণ ও মূল্য নির্ধারণ এবং অতি প্রাচীনপন্থী এক বাণিজ্যনীতি। অবশ্যম্ভাবীRead More →

আমাদের দেশে জোট রাজনীতির ইতিহাস অতি প্রাচীন। তালিকোটার প্রান্তরে দক্ষিণ ভারতে ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতির একমাত্র রক্ষক বিজয়নগর সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করেছিল বিজাপুর, আহম্মদনগর, গােলকুণ্ডা, বেরার ও বিদর এই পাঁচ মুসলমান রাজ্যের জোট। জোট রাজনীতির খেলায় সেদিন দাক্ষিণাত্যে ধ্বংস হয়েছিল জাতীয় সভ্যতা, লাভবান হয়েছিল ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত বিদেশি স্বার্থ। স্বার্থের প্রয়ােজনে জোট গঠনRead More →

সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। অগোছালো কিংবা সাজানো গোছানো পারস্পরিক অভিঘাতময় এই সময়ের ক্যানভাসে কেন্দ্রীয় বিত্তমন্ত্রীর বাজেট পেশ একটা খুব বড়োসড়ো ব্যাপার। সর্বস্তরের মানুষের তুমুল আগ্রহ ছিল এই বাজেট নিয়ে। বিশেষত এই বিশাল দেশের বিপুল সংখ্যক দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা তাদের বেদনা-অধ্যুষিত অনিরাপদ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসবার দিশা রূপে এই বাজেটেরRead More →

স্বাধীনােত্তর ভারতে কতিপয় সর্বজনসম্মানিত দুর্লভ মানবিকগুণ সম্পন্ন নেতাদের অন্যতম ছিলেন এই মানুষটি। —“আমরা মােটেই নিজ স্বার্থের জন্য পৃথিবীতে আসিনি কেবলমাত্র নিপীড়িত ও অবহেলিতদের জন্যই আমাদের জীবন ধারণ।” বাক্যটি নানাজীর ও তার সমগ্র জীবনটিই ছিল এই উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে, তার মৃত্যুর আট বছর পর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তাকে সর্বোচ্চRead More →