বাঙ্গালীর ইতিহাস বিমুখতা নিয়ে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের বহুচর্চিত আক্ষেপের এক জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গাধিপতি মহারাজা শশাঙ্ক । বাঙ্গলার প্রথম সার্বভৌম সম্রাট শশাঙ্কের মূল্যায়ন আজও হয়নি, প্রকারান্তরে প্রতিনিয়ত হয়েছে তাঁকে ভুলিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। বাঙ্গলার ইতিহাসে যাঁর স্থান হতে পারত সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ও সম্মানিত, তাঁকে চিনলই না অধিকাংশ বাঙ্গালী। সৌজন্যে বাঙ্গালীর ইতিহাসচর্চার পরনির্ভরশীলতা। আরবRead More →

ঘেঁটুফুল থেকে সরে গেছে দৃষ্টি  দৃশ্যমানতায় কুয়াশারোদ  বনসাই বটের বিচির দিকে ফিকির ও ধান্দা।  পাঁচমিশালী গোলাপের ভেতর  রোয়াওঠা গর্ভকেশর শিশিরে নড়ে ওঠে  গরম মাটিতে বেড়ে গেছে বাষ্পমোচনের হার মেঘজন্মের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে  একটা পুংজন্মেরও শেষ হয় । তুলসীদাস ভট্টাচার্য Read More →

মৃত স্বপ্নের মত পেটকাটা ঘুড়ির সুতো                         ছুঁয়ে আছে অপার্থিব চাঁদ ছুঁয়ে থাকা প্রবাসী উল্লাসে নেমে আসে  মেঘজ্যোৎস্না    আঁতুড়ঘরে একলব্যের স্মৃতি  এ আমার প্রতিস্পর্দ্ধা, এও এক  প্রবল হাভাতেপনা বাউণ্ডলে বেঘুম সেই লোকটা যে আমায় জন্ম দেবে বলে              কৈলাশ চূড়ায় বসে শীতের আশ্লেষে                                        প্রত্নবীজ সংগ্রহ করেছে তারRead More →

বিগত কয়েক দশক ধরেই এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একটা অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাঙ্গালী পরিচয়টাকে গুলিয়ে দেওয়ার। এই প্রচেষ্টা ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছিল ১৯৬০ এর দশকের তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশে। কেন এই প্রচেষ্টা? ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের ঘোষিত বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে অবিভক্তবঙ্গেযেব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় তা থেকে অধিকাংশ বাংলাভাষী মুসলিম নিজেদেরRead More →

বেশ কয়েকবছর আগের কথা, পুরুলিয়া জেলা হাসপাতালে বাচ্চাদের ওয়ার্ডে ডিউটি করছি, খুব ব্যস্ত। পরপর ভর্তি হচ্ছে রোগী। মাত্র দুজন  সিস্টার। আমি অন্য ওয়ার্ডের স্টাফ। এখানের  স্টাফ আজ অনুপস্থিত থাকায় আমাকে পাঠানো হয়েছে সিডিউল স্টাফ কে সাহায্য করতে। এমারজেন্সি থেকে দেখিয়ে ভর্তি হতে  আসা রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে টিকিটের সাথে নাম, ঠিকানা মিলিয়ে বিছানা দেখিয়ে দিচ্ছি। একটা টিকিটেRead More →

সত্যচরণ হাজরা, ভরতপুর কৃষ্ণভামিনী স্কুলের দাপুটে হেডমাস্টার। উনি ছাত্রদরদী এবং বেশ কড়া হাতে স্কুলের প্রশাসন সামলান। কোনও শিক্ষক বা ছাত্রছাত্রী দেরি করে এলে বা বেশ কদিন না জানিয়ে কামাই করলে প্রশ্নের জালে তিনি তাদের ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন। এনাদের পূর্বপূরুষ এই স্কুলটি বহুদিন আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কাজেই এটার উপর ওনার প্রাণেরRead More →

কাটরার হোটেল থেকে তিনটে গাড়ি সকাল আটটায় একসাথে ছাড়ল। দুটো ছোট বাস যারা ট্রাভেল এজেন্টের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতায়াত ও সাইটসিন করবে এবং একটি শেভরোলে ট্যাভেরা যাতে পাঁচজনের একটি পরিবার যার ক্ষুদ্রতম সদস্য আট বছরের একটি মেয়ে। সঙ্গে আছে তার মা, বাবা, অকাল বার্ধক্যে নড়বড়ে দাদু আর অমৃতসর স্টেশনে নেমেই পাRead More →

মোবাইলে রিংটোন। (হাঁপাতে হাঁপাতে) শুচিস্মিতা: কেএএএএ– মা? কী করছিলাম? আর বল কেন? এই সাত সকালে  কত্থক নৃত্য প্রাকটিস্ করছিলাম। নাহ্, একটুও ফাজলামো নয় গো মা। এখানে সবাই সব সময় সিরিয়াস। আমি যদি ফাজলামো করি তবে হয় আমার  দীপান্তর….আরে না না… দীপান্তর হলে এই  সাত সকালে ছেলেকে রেডি করে খাইয়ে দাইয়েRead More →

কটু গন্ধ বেরোচ্ছে, খোঁজাখুঁজি চলছে ঠিক কোথায়                    কী জ্বলছে; মা খুঁজে বের করলেন পলিটিক্সের সিঁড়ি বেয়ে ক্রমশ উঠতে থাকা                    ছেলের বিবেক পুড়ছে…                   মৃদুRead More →

ঘাটের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছি। শেষ পারাণীর কড়ি খুঁটে বাঁধা। মাঝি নাওটা নিয়ে এলেই পা বাড়াব। কিন্তু এখনই মনে পড়ছে যত আজগুবি সব গল্প। চারদিকে সবাই তখন ইজের প্যান্ট পরে, অন্যকিছু জোটে না । এমন সময় বাজ পড়ল মাথায় । অঙ্কুর কান্ডে রূপান্তরিত হওয়ার আগে। অথচ কত স্বপ্ন ছিল, হিসেব নেই। সময়ের বিবর্তনে কিছুRead More →