ভারতের জাতীয় পতাকার পরিকল্পনা করতে দেখা যায় ভগিনী নিবেদিতাকে। তাতে বজ্রচিহ্ন আঁকা, অভ্যন্তরে ‘বন্দেমাতরম’ কথাটি লেখা। প্রকৃতপক্ষে আত্মত্যাগ না হলে দেশ, জাতি গঠন করা সম্ভব নয়। নিবেদিতার আঁকা বজ্রচিহ্ন ভারতবর্ষের দধীচি মুনির মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করিয়ে দেয়৷ কারণ তারই হাড় দিয়ে তৈরি হয়েছিল ভয়ঙ্কর অস্ত্র ‘বজ্র’। দেবাতারা এই বজ্র দিয়েইRead More →

অনেক লড়েও এশিয়ান গেমসের ফাইনালে উঠতে পারলেন না ভারতের সুতীর্থা মু‌খোপাধ্যায় ও ঐহিকা মুখোপাধ্যায়। টিটি মহিলাদের ডাবলসের সেমিফাইনালে উত্তর কোরিয়ার জুটির কাছে হারলেন তাঁরা। টান টান সেমিফাইনালে সাত গেমে হল ম্যাচের ফয়সালা। ৩-৩ অবস্থায় শেষ গেমে হারলেন সুতীর্থারা। সোনা-রুপো হাতছাড়া হলেও ব্রোঞ্জ পেলেন দুই বাঙালি মেয়ে। ভারতের প্রথম মহিলাদের ডাবলসRead More →

গঙ্গোপাধ্যায় বাড়ির বড়ো কর্তা হাতের খবরের কাগজটা টেবিলের ওপর ছুঁড়ে দিয়ে তার স্ত্রীকে ডেকে বললেন মেজো বউকে একবার ডেকে দাও তো। একগলা ঘোমটা দিয়ে ভাসুর ঠাকুরের সামনে এসে দাঁড়ালেন কাদম্বিনী। ডেকেছেন দাদা? ভাসুরের কন্ঠে যেন মেঘ ডাকলো। টেবিলের ওপর পড়ে থাকা বঙ্গবাসী পত্রিকাটি দেখিয়ে বললেন, পড়ে দেখো। তোমার জন্য তোমারRead More →

তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ পার্ষদ স্বামী অভেদানন্দ। ২ রা অক্টোবর তাঁর জন্মদিন। অক্টোবরের দুই তারিখ নিয়ে বঙ্গবাসী তথা ভারতবাসীর একটি সম্ভ্রমের অন্তঃকরণ ও ইতিহাসও আছে; যেখানে বিতর্ক নেই, যেখানে রাজনৈতিক চালাকি নেই, যেখানে কথা ও কাজের মধ্যে ফারাক নেই। আছে কেবল আধ্যাত্মিক শান্তি, সৌভদ্র, ত্যাগ এবং ভালোবাসা। প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দর একবার বলেছিলেন,Read More →

তিনি রানি রাসমণি। ১৮৫৫ সালে প্রতিষ্ঠা করলেন দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে মা ভবতারিণীর মূর্তি। ব্রিটিশ-ভারতের পটভূমিতে এত সাহসী, এত হিতৈষী-মহীয়সী নারীর দেখা পাওয়া যায় নি। একজন কৈবর্ত হয়েও দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠা করে এবং শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে বরণ করে ভারতের আধ্যাত্মিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক জগতকে আরও প্রাণবন্ত মিলনক্ষেত্রে পরিণত করেছিলেন, যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। উনিশRead More →

থিমের পূজা নিয়ে বাঙালির “ন যযৌ ন তস্থৌ” অবস্হা। না পারছে অতিক্রম করতে, না আছে থেমে! থিমে নতুনত্ব আনতে গেলে সনাতনী হিন্দু ধর্মকে বেইজ্জত করতেই হবে, যেমন জুতোর প্যাণ্ডেল নির্মাণ, যেমন মা দুর্গার অস্ত্রবিহীন মূর্তি। কথায় বলে, বাঙালির মনে ধরলে ৩৪ বছর লাগে তা দূর হতে। বাঙালির স্থিতিজাড্য প্রবল। নানানRead More →

অনুবাদক বিদ্যাসাগরের প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ হিসাবে আমরা ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’ (১৮৪৭) নামটি জানলেও আমরা অনেকেই জানি না, তাঁর প্রথম অনুবাদ ছিল ‘বাসুদেবচরিত’। নমুনা যা পাওয়া গেছে, অসাধারণ সুললিত ছিল এই গ্রন্থ, অনুবাদ-কর্মের প্রথম পরীক্ষা, লিপিচাতুর্য আর ভাষা-সৌন্দর্যে অতুলনীয়। এর পাণ্ডুলিপিটি রচিত হয় সম্ভবত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে চাকুরিরত অবস্থায় (১৮৪২ – ১৮৪৬ এরRead More →

তাঁর নিজের যে একটা পদবী আছে, এ কথা অনেকেই মনে রাখেননি। বহুজনের বিশ্বাস মানুষটির নামই বিদ্যাসাগর (Vidyasagar)। কিন্তু বীরসিংহের ভূমিপুত্র ঈশ্বরচন্দ্র (Ishwar chandra Vidyasagar) প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে যে উপাধি অর্জন করলেন, সেইটেই নাম হয়ে উঠল তাঁর জীবদ্দশাতেই। এমন ঘটনা পৃথিবীতে বড়োই বিরল। আর তাইতো বাঙালির ইতিহাসে তারানাথ বাচস্পতির পুত্র জীবানন্দ, রংপুরেরRead More →

আজ ভাদ্রের শুক্লা অষ্টমী (এ বছর আশ্বিন মাসে তিথিটি পড়েছে), আজ রাধাষ্টমী। শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান হলেও, তার শিকড়ে রয়েছে লোকায়তিক সংস্কৃতি, বৃহত্তর লোকচারণা। ভারতের নানান প্রান্তে গো-কেন্দ্রিক, গো-আধারিত, গো-পালক সমাজে যে বহুবিচিত্র লোকানুষ্ঠান উৎযাপিত হয়, তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে শাস্ত্রীয় আচার-অনুষ্ঠান। শাস্ত্রীয় ও লৌকিক — সব মিলেমিশেই এক সমন্বিত রূপRead More →

শ্যামাপ্রসাদের তথ্যনিষ্ঠ জীবনীরচনায় তপন শিকদার। শ্রী তপন সিকদার তখন ‘ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী স্মারক সমিতি’-র সাধারণ সম্পাদক এবং শ্রী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বে ভারত সরকারের রসায়ন ও সার দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী। এইসময় তিনি সমিতির পক্ষ থেকে নিবেদন করলেন একটি সঙ্কলিত ও সম্পাদিত গ্রন্থনা “শতবর্ষের আলোয় শ্যামাপ্রসাদ”। বইটির প্রকাশকাল ২০০২ সালের জুলাই মাস। বইটির লেখকRead More →