দ্বিজেন্দ্রলাল রায় যে একজন কৃষি-বিশেষজ্ঞ ছিলেন এই তথ্য আমাদের অনেকের জানা নেই। স্নাতকোত্তর ইংরাজী সাহিত্যের একজন কৃতীছাত্র কেন কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে বিলাতে গিয়েছিলেন তা আজও বাঙ্গলা সাহিত্যের গবেষকদের কাছে কৌতুহলের বিষয়। কৃষিবিদ্যায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের অধীনে উচ্চপদে কর্মরত হওয়া যাবে এ বাসনা হয়তো ছিল, বিশেষ করে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তেরRead More →

তিনি আমাদের ‘সঙ্ঘ’-সম্পৃক্ত করেছেন; একত্রিত করেছেন, সঙ্ঘবদ্ধ করেছেন, এক থাকতে উপদেশ দিয়েছেন। তিনি শাক্যমুনি গৌতম বুদ্ধ। ‘সঙ্ঘ’ বলতে আদিতে বৌদ্ধভিক্ষু-সমাজ বোঝালেও, ক্রমে তাই হয়ে ওঠে নানান হিন্দু সমাজের নয়নের মণি। তাছাড়া বৌদ্ধধর্মকে হিন্দু ধর্ম থেকে তো আলাদা করা যায়ই না। গৌতম বুদ্ধকে দশাবতারের অন্যতম কল্পনার মধ্যেই হিন্দু ধর্মের বৃহত্তর সমন্বয়Read More →

হয়তো নির্ধারিত কালের পূর্বে তাঁর আবির্ভাব। হয়তো কালের আগেই তিনি ভারতবর্ষে জন্ম নিয়েছিলেন। জন্ম হুগলির খানকুলের রাধানগর গ্রাম। আর মৃত্যু ইংলন্ডের ব্রিষ্টল শহর। কর্ম ও কৃত্যে তো বটেই, জন্ম-মৃত্যুতেও যিনি প্রাচ্য ও প্রতীচ্যকে যুক্ত করলেন, সেই রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২/১৭৭৪–১৮৩৩) ছোটোবেলায় আমাদের কাছে কিছুটা অস্পষ্ট ছিলেন। হয়তো বড়দের কাছেও। কারণRead More →

কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দেশের সৈন্য এবং পুলিশ সদস্যদের সততা এবং নিষ্ঠা নিয়ে সন্দেহ করার প্রবণতা ও সন্ত্রাসবাদী এবং দেশবিরোধী শক্তিগুলিকে নিরস্ত করার সময় সৈন্য ও পুলিসের চরিত্র হনন ও আক্রমণের প্রবণতা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ।একজন প্রাক্তন বেসামরিক কর্মচারী যিনি ক্যাডারে উঠেছিলেন এবং দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালনRead More →

মামুদের আক্রমণ হইতে লড্‌ কার্জনের সাম্রাজ্যগর্বোদ্‌গার-কাল পর্যন্ত যে-কিছু ইতিহাসকথা তাহা ভারতবর্ষের পক্ষে বিচিত্র কুহেলিকা; তাহা স্বদেশ সম্বন্ধে আমাদের দৃষ্টির সহায়তা করে না, দৃষ্টি আবৃত করে মাত্র। তাহা এমন স্থানে কৃত্রিম আলোক ফেলে, যাহাতে আমাদের দেশের দিকটাই আমাদের চোখে অন্ধকার হইয়া যায়। সেই অন্ধকারের মধ্যে নবাবের বিলাসশালার দীপালোকে নর্তকীর মণিভূষণ জ্বলিয়াRead More →

“ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কী সঙ্গীত ভেসে আসে…” কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকরা মহাসাগরের সুদূরতম প্রান্ত থেকে আগত ক্ষীণতম শব্দও হয়ত শুনতে পান।পৃথিবী-সহ সৌর জগতের অন্যান্য গ্রহগুলি যখন সূর্য দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে,বাষ্পাকারে মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করছিল,যখন গ্রহগুলি তাদের নিজস্ব আকার-আকৃতিও নিতে পারে নি,সেই সময়কার ক্রন্দন ধ্বনিও আজ বিজ্ঞানীরা শুনতে পারছেন।প্রাগ্রসর দেশগুলির ব্রম্ভাণ্ড অন্বেষী সংস্থাRead More →

মাতৃস্নেহের কী কোনো বিকল্প হয়? জগতের এ এক আশ্চর্য মহাভাব। শিশুর যাবতীয় ব্যাধির মহৌষধ মা, যেন অব্যর্থ মকরধ্বজ। “কুপুত্র যদি বা হয় — কুমাতা কখন নয়।” মাতৃত্বের প্রকাশ যত, অপ্রকাশ তার চেয়ে বহু গুণ। শৈশবে আমরা কেবলই মাকে খুঁজি, তার আঁচলে লুকোই। যখন যৌবনের জটিলতায় পা বাড়াই তখন সেই সহজাতRead More →

আজ চন্দন ষষ্ঠী (৭ ই মে, ২০২২)। বাংলার চন্দন-সংস্কৃতির এক অনবদ্য অধ্যায় ( Sandal-lore )। সে শ্বেতচন্দনের কথা, বিজ্ঞানসম্মত নাম Santalum album , Santalaceae পরিবারের গাছ, ইংরেজিতে Sandalwood tree । পেনিসিলিনের মত ওষুধ যখন ছিল না, তখন চন্দন তেল ও তার পাউডার দিয়েই দেহাভ্যন্তরের হরেক রোগের জ্বালাযন্ত্রণা সারাতেন লোক চিকিৎসক।Read More →

‘পূরবী’ কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন —উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,                       ‘ ভয় নাই, ওরে ভয় নাই —                  নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান                      ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ক্ষয় নেই যে সত্তার সেটাই ‘অক্ষয়’। যার কোনো বিনাশ নেই। ‘অক্ষয় তৃতীয়া’-র দিন আমরা ‘অবিনাশী’ হতে চাই, আমাদের যাবতীয় সম্পদকে অনন্ত অক্ষয় করে তুলতে চাই। কিন্তু ‘চাই’ বললেইRead More →

প্রথম জীবনে তিনি বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং তিনি কংগ্রেস কর্মী হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। ১৯২৫-২৬ খ্রিস্টাব্দে নবগঠিত ওয়ার্কাস অ্যান্ড পেজ্যান্টস্ পার্টির প্রেসিডেন্ট হন। পরে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে লেবার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২১ জুন ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যুতে কলকাতায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সঙ্ঘের যেRead More →