প্রেমিকের ‘ফাঁদে’ পড়ে প্রায় সাত দিন বন্দি বিহারে! হুগলির ছাত্রীকে উদ্ধার করে আনল চন্দননগর পুলিশ

স্কুলের অনুষ্ঠানে যাবে বলে মামার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী। সেটা গত ১২ সেপ্টেম্বর। তার পর থেকে পিতৃ-মাতৃহীন মেয়েটির আর খোঁজ মেলেনি। সপ্তাহ খানেক তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর হুগলির মেয়েটিকে পাওয়া গেল বিহারে। সোমবার নালন্দা থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এল চন্দননগর থানার পুলিশ। ছাত্রীর পলাতক প্রেমিকের খোঁজে তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, চুঁচুড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করে মেয়েটি। সাত মাসের ব্যবধানে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর চন্দননগরের কাঁটাপুকুরে মামার বাড়িতে থাকে সে। সেখানে থেকেই বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গত ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় মামার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। বলেছিল, স্কুলের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। তার পর দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়। ভাগ্নি বাড়ি না-ফেরায় থানায় যান মামা। নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সাধারণত স্কুলের পুলকারে যাতায়াত করলেও নিখোঁজের দিন দিদার কাছ থেকে একশো টাকা নিয়েছিল ওই ছাত্রী। বলেছিল, টোটো করে স্কুলে যাবে। তার মোবাইলটিও কিছু ক্ষণ বাদে বন্ধ পাওয়া যায়। বিস্তর খোঁজখবর করে তদন্তকারীর জানতে পারেন বিহারে রয়েছে ওই ছাত্রী।

নালন্দায় এক যুবকের সঙ্গে দশম শ্রেণির ছাত্রীটির পরিচয় হয় সমাজমাধ্যমে। পরে ফোনালাপও হত তাদের। তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল, নাবালিকা ওই যুবকের কাছেই রয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে বিহার রওনা দেয় তারা। দেখা যায়, অনুমান ঠিকই ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, নালন্দায় একটি বাড়ির মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল স্কুলছাত্রীকে। সোমবার তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই যুবকের খোঁজ মেলেনি। তাঁর সন্ধান চলছে। তদন্তের স্বার্থে মেয়েটিকে মঙ্গলবার চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হবে।

সোমবার ছাত্রীর মামা বলেন, ‘‘ভাগ্নি স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিল। প্রেমঘটিত কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ উদ্ধার করেছে ওকে। আমরা পুলিশের এই কাজে খুশি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.