????????||||????????
শ্মশানবাসী জামাইকে অপমান করার উদ্দেশ্যে দক্ষরাজ আয়োজন করলেন এক মহা যজ্ঞের। সকল দেবতা দের আমন্ত্রণ জানালেও , আমন্ত্রণ জানালেন না নিজ কন্যা সতী আর দেবাদিদেব কে। নারদের কাছে সেই মহা আয়োজন এর খবর পেলেন সব ই সতী। তিনি জেদ ধরে বসলেন তাঁকে যেতে দিতেই হবে মহাদেব কে। কিন্তু ত্রিকালজ্ঞ জানতেন এর ফলাফল কি হতে চলেছে। তাই তিনি কিছু তেই রাজি হলেন না। তখন ক্রুদ্ধ সতী ত্রিনয়নের থেকে অগ্নি বর্ষণ করে রূপ নিলেন দেবী কালির ; প্রথম মহাবিদ্যা। এরপর ও শিব অনুমতি না দিতে চেয়ে বিভিন্ন দিকে চলে যেতে চাইলেন। তখন সতী দশ দিক আটকে দিলেন দশ রূপে ; দশমহাবিদ্যা।
চন্ডী পুরান অনুযায়ী শুম্ভ নিশুম্ভ দুই ভাইয়ের তান্ডবে ত্রিলোক যখন কম্পমান তখন মহাদেব দেবী দুর্গা কে ” কালিকা ” সম্বোধনে দুই দানবের প্রাণ নাশ করে ত্রিলোককে শঙ্কামুক্ত করার অনুরোধ জানান। তখন মায়ের ভ্রুকুটি থেকে জন্ম নিলেন ঘোর কৃষ্ণবর্ণা মা কালী।
আবার অন্য মতে দেবী তার ঘোর কৃষ্ণ বর্ণের কারণে ” কালী ” সম্বোধনে যারপরনাই ক্রোধান্বিত হন এবং মানস সরোবরের তীরে কঠিন তপস্যায় বসলেন। দেহের কৃষ্ণ বর্ণ কোষ থেকে তৈরি হন দেবী কালী।

দেবীর ডান হাত বরাভয় মুদ্রায় আর বাম হাতে খড়্গ ও নরমুন্ড রয়েছে । পদতলে মহাদেব। কোমরে নর হস্তের সারি। গলায় নরমুন্ডমালা।
কালিকাপুরান অনুযায়ী মহর্ষি মাতঙ্গের আশ্রমে দেবী মহামায়ার প্রার্থনায় বসেন সকল দেবতা রা। তখন দেবী প্রসন্না হয়ে মাতঙ্গের স্ত্রীর রূপ ধারণ করে দেবী তাঁদের প্রশ্ন করেন যে তাঁরা কার স্তব করছে। উত্তরে দেবীর ই দেহ থেকে মহা জ্যোতির্ময়ী ঘোর কৃষ্ণ বর্ণা দেবী নিজেই বেরিয়ে এসে উত্তর দেন যে আমারই স্তব করছে। সেই দেবী ই দেবী কালী। দশমহা বিদ্যার প্রথম রূপ মা কালী।

© বর্ষা কর্মকার ঘোষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.