আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ভোটে লড়ার আর্জি খারিজ করেছে কমিশন, আদালতে ফের ৮২ আইএসএফ প্রার্থী

পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার সুযোগ চেয়ে সোমবার হাই কোর্টে মামলা করেছেন ভাঙড়ের ৮২ জন পঞ্চায়েত প্রার্থী। এঁরা প্রত্যেকেই আইএসএফের হয়ে এক বার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর হঠাৎই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের নাম। এই অভিযোগে এর আগেও হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বিচারপতি অমৃতা সিংহ ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কমিশনকে। কিন্তু আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কমিশন তাদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।

সোমবার দুপুরে এ ব্যাপারে বিচারপতি সিংহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই আইএসএফ প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি রয়েছে।

গত ২৬ জুন বিচারপতি সিংহের বেঞ্চে উঠেছিল ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর মামলাটি। বিচারপতিকে তাঁরা জানিয়েছিলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তাঁদের নাম কমিশনের ওয়েবসাইটে ছিল। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায়, কমিশনের ওয়েব সাইটে আর তাঁদের নাম নেই। আইএসএফ প্রার্থীদের আবেদন শোনার পর বিচারপতি সিংহ কমিশনকে বলেছিলেন, ওই প্রার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং অভিযোগ সত্য হলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে কমিশনকে। কিন্তু প্রার্থীদের অভিযোগ, তার পর কমিশনের কাছে তাঁরা পুনরায় আবেদন করলে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আইএসএফ প্রার্থীদের মতোই ভাঙড়ের ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীও মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নাম সরে যাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সেই মামলাতেও ১৯ সিপিএম প্রার্থীকে আবার ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিংহ। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কমিশন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলে তারা বিচারপতি সিংহের নির্দেশ খারিজ করে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.