“আরও একবার আদালতে থাপ্পড় খেল রাজ্য, তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ সুকান্তর

 ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ একেবারেই বৈধ। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে বেতন বন্ধ করা দশ উপাচার্যের বেতন চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আর এই রায়ের পরই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, আবার একবার আদালতের কাছে থাপ্পড় খেল রাজ্য সরকার।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্য সরকার আরও একবার আদালতের কাছে গিয়ে থাপ্পড় খেয়ে এলো। আমরা আগেই বলেছি, হাইকোর্টের আগের যে রায়েই প্রশ্নাতীতভাবে স্পষ্ট হয়ে গেছে , উপাচার্য কে হবেন তার নিয়োগের ক্ষমতা আছে আচার্যর হাতেই। আর এখানে রাজ্য সরকার পোষিত যে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার আচার্য হচ্ছেন রাজ্যপাল। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যপাল যেটা চেয়েছেন সেটা বৈধ অর্থাৎ বৈধ পদ্ধতি মেনেই উপাচার্যরা নিয়োগ হয়েছে। তাদের মাইনে বন্ধ রাখা অন্যায় এবং অবিচার।”

বেশ কিছুদিন আগেই উপাচার্য হীন হয়ে পড়েছিল রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যদেরই মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করে রাজভবনে পাঠিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। কিন্তু সেই প্রস্তাব না মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যাদবপুর, কল্যাণী, কাজী নজরুল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল।

কিন্তু রাজ্যের অভিযোগ ছিল তাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতও চরমে ওঠে। আদালতে যায় রাজ্য। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে ধাক্কা খায় রাজ্য। কারণ আদালতের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের এক্তিয়ার রাজ্যপালেরই রয়েছে। তিনি কোনো নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ করেননি। দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদের নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল তারাই দায়িত্বে বহাল থাকবেন। একই সঙ্গে উপাচার্যদের বেতন চালুর নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.