প্রত্যেকটা UPSC র স্যাররা পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাস নিয়ে ভিডিও বানাচ্ছে GS পেপারের জন্য।
সেই ভিডিও সারা ভারত দেখছে, সারা ভারতের ছেলে মেয়েদের কমেন্ট পড়লেই বোঝা যাচ্ছে আমাদের রাজ্যের সম্পর্কে সবার ধারণা কেমন। লজ্জা লাগছে সত্যিই লজ্জা লাগছে। রাজনীতি কূটনীতিতে ঠোকাঠুকি একটু আধটু হয় কিন্তু আমরা সামান্য একটা ভোটের জন্য কতটা নিচে নামতে পারি তার প্রমাণ দিয়ে দিয়েছি বিগত বছরগুলোতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এই সন্ত্রাস ও বিরোধীনিধন যজ্ঞের কারন শাসকের ১০০% দখলের রাজনীতি। এর পেছনে আরেকটি কারণ আছে, সেটা হলো কর্মসংস্থানের অভাব। আমাদের বাঙালি সোসাইটিকে ভাতা আর দান খয়রাতিতে পরিবেশ এতটাই মেরুদন্ডহীন করে তুলছে যে আমরা আমাদের কর্মক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছি। মানসিকতাটাই ফ্রিতে খাবো টাইপের হয়ে গেছে। আজ পশ্চিমবঙ্গের যুব সমাজের কর্মসংস্থানের উৎস হলো রাজনৈতিক পদ। একটা যুবনেতার পোস্টও এখানে করে কর্মে খাওয়ার উৎস। তাই সবাই সবার পেট বাঁচাতে সংঘর্ষে ঝাঁপিয়ে পরে। এর থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে হিংসা হানাহানি সন্ত্রাস স্ববিরোধীতার মত ঘটনা।
এক সময় যে জাতি নেতাজি রবীন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্র ক্ষুদিরাম ঋষি অরবিন্দ মেঘনাদ সাহা আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জগদীশ চন্দ্র বসু, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত নক্ষত্র সারা ভারতবর্ষকে উপহার দিয়েছে তারাই আজ রাস্তায় একে অপরকে বোম মারছে যে যাকে পারছে গুলি করে দিচ্ছে। ১৯৭৭ এর পর থেকে কি এমন হলো পুরো জাতিটি এখন চারু মজুমদারের আর্দশে শুধু ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে? এত সো কলড ইন্টেলেকচুয়াল আজকাল কেউ পুরো জাতির অধঃপতন নিয়ে কথা বলছেন না। আর একদল বাঙালি প্রেমের নামে রাস্তার গুন্ডামির শিক্ষা দিচ্ছে।
রোজ গা শোয়া একঘেয়েমি ভাবে আজ আমরা মেরুদন্ডহীন জীবে পরিনত হচ্ছি কিন্তু আজ থেকে ১০/১৫ বছর পর আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মকে কি উত্তর দেবো নিজেরাও জানি না।
গনতন্ত্র নামক শব্দটা যখন প্রহশন হয়েই গেছে তাহলে ভোট করে কি হবে ? জয় বাংলা বলে সব দখল করে নিলেই তো হয়।
সৌভিক সিংহ