নারীশিক্ষা রুখতে এবার ছাত্রীদের বিষ খাওনোর অভিযোগ উঠল ইরানে। সম্প্রতি সেদেশের একাধিক শহরে বিভিন্ন স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়ে শ’ খানেক ছাত্রী। তাদের বিষ খায়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। খোদ ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।
নীতি পুলিশের হাতে হিজাব না পরার জন্য ২২ বছর বয়সি মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ইরান। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল অজস্র প্রতিবাদীকে। সরকারবিরোধী প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীরাও।
সেই ঘটনার পর থেকেই আচমকা অদ্ভুতভাবে দেশের বিভিন্ন শহরে স্কুলগুলিতে শ্বাসযন্ত্রে বিষক্রিয়ার কারণে ছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা নজরে আসছিল। এই ঘটনার পিছনে স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, বিশেষত মেয়েরা যাতে স্কুলে না যায় তার জন্য ছাত্রীদের শরীরে ইচ্ছাকৃতভাবে বিষক্রিয়া ঘটানোর অভিযোগ উঠেছিল। রবিবার কার্যত সে কথা স্বীকার করে নিলেন ইরানের ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি।
রবিবার একটি বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘কায়ুম শহরের একাধিক স্কুলে ছাত্রীদের শরীরে বিষক্রিয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তারপর তদন্তে দেখা গেছে, কিছু লোকজন চাইছিল স্কুল বন্ধ করে দিতে, বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলগুলি।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিষক্রিয়া ঘটানোর জন্য যে ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেগুলি যুদ্ধে ব্যবহৃত রাসায়নিক নয়। এবং সেই বিষ নিষ্কাশনের জন্য জটিল কোনও চিকিৎসারও প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত রাসায়নিকের বেশিরভাগেরই চিকিৎসা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।