পুলিশ হেফাজতেও রক্ষা নেই!
কোরান অবমাননার জেরে থানা ভেঙে যুবককে টেনে হিঁচড়ে বের করে পিটিয়ে মারল পাকিস্তানের উন্মত্ত জনতা। কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল পুলিশ। পরে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কোনওরকমে আটকায় পুলিশ কর্মীরা। নৃশংসা ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের নানকানা সাহিব শহরে।
মৃতের নাম মহম্মদ ওয়ারিশ। বয়স বছর ২০-এর আশেপাশে। অভিযোগ, ইসলাম ধর্মের অপমান করেছিলেন তিনি। অবমাননা করেছিলেন ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরানের। অভিযোগ পেয়ে নানকানা সাহিবের পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
নানকানা সাহিবের ওই থানায় ঢুকে পড়ে উন্মত্ত জনতা। থানায় ঢুকে লকআপ ভেঙে তারা ওয়ারিশকে রাস্তায় বের করে আনে। তারপর তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারে। পুলিশ টুঁ শব্দটুকুও করতে পারেনি। দেহটি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানে এ ধরনের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ধর্মের অবমাননার অজুহাতে বহু ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের পিটিয়ে মারা হয়েছে সে দেশে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে মহিলা, শিশুদেরও। এমনকী. শ্রীলঙ্কার এক নাগরিককেও একই অজুহাতে হত্য়া করা হয়েছিল পাকিস্তানে। সেই ঘটনায় অবশ্য ৬ জনের মৃত্য়ুদণ্ড দেওয়া হয়। পাকিস্তানের আইন বলছে, ধর্মের নিন্দা বা অবমাননা করলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।