সারা দেশ জুড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘এক দেশ, এক ভাষা’ মন্তব্যের সমালোচনা করে জনমত তৈরি হয়েছে। এবার তা নিয়েই নিজের অবস্থান পাল্টালেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, জোর করে কারও মাতৃভাষা হিন্দি করার কথা বলিনি। কেউ যদি এই বিষয়ে রাজনীতি করতে চায় করুক।
তিনি আরও বলেন, “আমি হিন্দিকে মাতৃভাষা ছাড়া অন্য দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে বলেছিলাম। ভারতে একাধিক ভাষা রয়েছে, সেগুলো সবই থাকবে। কিন্তু দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে আমাদের হিন্দিটা রাখা দরকার। যা গোটা বিশ্বের মানুষ জানবে। ভারতের প্রধান ভাষা হিন্দি। ” অমিত শাহের হিন্দি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াসকে সমর্থন করেন দক্ষিণের সুপারস্টার রজনীকান্ত। তিনি বলেন, “শুধু ভারতই নয়। একতা ও প্রগতির জন্য বিশ্বের সব দেশেই ‘এক ভাষা, এক দেশ’ হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে জোর করে তা সম্ভব নয়।”
অন্যদিকে দক্ষিণের আরেক সুপারস্টার কমল হাসান এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানানোর কথা ১৯৫০ সালে রচিত আমাদের সংবিধানে প্রতিশ্রুতি হিসেবে রয়েছে। আমরা তা রক্ষা করবই। প্রয়োজনে এর জন্য জাল্লিকাট্টুর থেকে বড় আন্দোলন হবে।” জেলে বন্দি থাকা অবস্থায়ই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তিনি তামিলনাড়ু প্রদেশ কংগ্রেসকে এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন হিন্দি আমাদের রাজভাষা। আমাদের দেশের মানুষ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে। কিন্তু এমন এক ভাষা হওয়া দরকার যা দুনিয়ার কাছে আমাদের পরিচয় বহন করবে। হিন্দি ভাষাই তা করতে পারবে। অমিতের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গের নেতারা। এমনকি দেখা যায় কর্ণাটকের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা অমিতের এই মন্তব্যকে সমর্থন করেননি। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। দলের আগে ভাষা এই স্লোগান সামনে রেখে তাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কথাও বলেছেন।