আইকোর মামলায় আরও বিপাকে সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁর ৫ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এই তালিকায় রয়েছে সুমনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে একাধিক ফ্ল্যাট।
আইকোর গ্রুপের কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিপুল পরিমাণে চিটফান্ড দুর্নীতি চালিয়েছে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষাধিক বিনিয়োগকারীরে থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে। সেই কোম্পানিগুলির সঙ্গেই সুমন চট্টোপাধ্যায়ের মালিকানাধীন কোম্পানির সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ।
আইকোর গ্রুপ ছাড়াও, সুমন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একই রকমভাবে সারদা গ্রুপের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। সেই কারণেও এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এবং তার ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছে। পাশাপাশি সিবিআই এফআইআর দায়ের করার পর আইকোর গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি। সেই তদন্তেই সুমনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।
অভিযোগ, সুমন চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে এবং তার কোম্পানি দিশা প্রোডাকশন অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের দুর্নীতি করেছেন। তাঁর কোম্পানিতে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের ছদ্মবেশে আইকোর গ্রুপ থেকে ৯.৮৩ কোটি টাকা তোলা হয়। এছাড়াও, সুমন একই পদ্ধতিতে সারদা গ্রুপের মতো অন্যান্য চিট ফান্ড কোম্পানি থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা তোলেন বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আইকোর কোম্পানির প্রোমোটার ডিরেক্টর ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। যারা আর্থিক মূল্য ছিল ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।