দাবীটা হিজাব পরবার স্বাধীনতা নিয়ে কখনও নয়,…দাবীটা বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম কে অস্বীকার করে, শ্রেণীকক্ষে হিজাব পরবার
দাবীটা হিজাব পরবার স্বাধীনতা নিয়ে কখনও নয়,…দাবীটা বিদ্যালয়ের স্কুল ইউনিফর্ম কে অস্বীকার করে, শ্রেণীকক্ষে হিজাব পরবার I খবরটা যদিও এভাবেই হওয়া উচিত ছিল I কিন্ত এক শ্রেণীর ধান্দাবাজ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, এবং বিভেদকামী মিডিয়ার উদ্দেশ্য প্রনোদিত, ঘুলিয়ে দেওয়া প্রচারে, বিষয়টিকে হিজাব পড়বার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন রূপে দেখান হচ্ছে I দেশ বিদেশের টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং আবার সক্রিয় হয়েছে I আরবান নকশালরা কলম নিয়ে যথারীতি নাকিকান্না শুরু করে দিয়েছেন Iপাকিস্তান সেদেশের ভারতীয় রাজদূতকে ডেকে কৈফিয়ত চেয়েছে I মালালার বক্তব্য ভারতে মুসলিম মহিলারা সংখ্যাগুরু কর্তৃক আক্রান্ত,অত্যাচারিত, নিপীড়িত I বাস্তবে হিজাব নিয়ে এই দেশে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই, যে কেউ পরতে পারে I সামাজিক ক্ষেত্রে হিজাবের বিরোধিতা কেউ কখনও করেনি Iকিন্ত যে প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ড্রেসকোড রয়েছে, সেখানে এই ধরণের বিপজ্জনক দাবী মেনে নেওয়ার অর্থ জিন্নার ভাবনাকেই পুনরায় পরিপুষ্ট করা I আজ হিজাব/বোরখা নিয়ে হচ্ছে, কাল “নামাজী টোপি” নিয়ে হবে, পরশু হয়ত আলাদা ক্লাসরুম,তারপর আলাদা কলেজ I মিড ডে মিলে হালাল খাদ্য বহু বিদ্যালয়ে চালু হয়ে গিয়েছে I এত গেল স্কুল কলেজের কথা I এরপর পুলিশ সহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীতেও একই দাবী উঠবে Iসাদা চোখে এগুলোকে বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হলেও, বাস্তবে এগুলো প্যান ইসলামিজমেরই ক্ষুদ্রতর অংশ Iএর পেছনে নিশ্চিত ভাবেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে,.. শুধু জল মেপে দেখা হচ্ছে মাত্র I আসল লক্ষ্য আলাদা দেশ,শরীয়তি দেশ… “দার উল ইসলাম ” I তাই এই বিষাক্ত বীজ অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা দরকারI শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসন দিয়ে এই কাজ সম্ভব নয় I প্রয়োজন ব্যাপক জনজাগরণের I কর্ণাটক এর ছাত্র -ছাত্রীদের অসংখ্য ধন্যবাদ যে তারা এই অন্যায় দাবীর বিপক্ষে গর্জে উঠেছেIগর্জে উঠেছে দেশের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক সমাজও I কিন্ত ইতিহাস সাক্ষী, রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির অভাব কোনও কালেই ছিল না এই দেশে I তাই পূর্বের ন্যায় নক্কারজনক ভূমিকায় সেই বামপন্থীরাI ধর্ম কে আফিম জ্ঞান করা, সোভিয়েত রাশিয়ার উচ্ছিষ্ট,কমিউনিস্টরা একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে আজ বোরখা,হিজাবের সমর্থনে চিল চিৎকার করছে I এক বামপন্থী উকিল আবার হিজাবের সাথে অকারন ঘোমটা টেনে এনে উকিলি চতুরটায় বিষয় টিকে লঘু করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন I ধান্দামূলক বস্তাবাদ বোধহয় একেই বলে I প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বক্তব্য ত আরও লজ্জাজনক, তাঁর বক্তব্যর মর্মার্থ, যে কেউ বিকিনি পরেও ক্লাসে আসতে পারে I সাথে জুটেছে পেট্রোডলার পুষ্ট ব্রেকিং ইন্ডিয়া গ্ৰুপ তৎসহ এক শ্রেণীর মিডিয়া, যারা চায় সদা সর্বদা অস্থির থাকুক এদেশ ,ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাক ভারতবর্ষ I একটি হিজাবি মহিলার নাটুকেপনাকে মহান প্রতিপন্ন করে যেভাবে আরবান নকশালরা উঠে পড়ে অপপ্রচার শুরু করল, তাতে বিশ্বের দরবারে হেয় হল ভারতবর্ষ I তবে আশার কথা এই যে জাতীয়তাবাদী মনোভাবাপন্ন নাগরিকরাও বসে নেই, বিশেষ করে তরুণ ছাত্রছাত্রীগন যারা অডিও, ভিসুয়াল, সোশ্যাল, ফিজিক্যাল সব দিক দিয়েই যেভাবে পাল্টা সংযত আন্দোলন গড়ে তুলল,তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় I এই শক্তিই ত আজ চাই I চাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ তরুণ সমাজ Iতবেই ত গড়ে উঠবে আধুনিক
ঐক্যবদ্ধ ভারতবর্ষ,নিশ্চিহ্ন হবে “টুকরে টুকরে গ্যাং “..নির্মিত হবে বৈভবশালী দেশI
মন্দার গোস্বামী