ফ্রান্সের (France) এক ক্যাথলিক স্কুলের শিক্ষকের আপত্তি মুসলিম ছাত্র পড়ানো নিয়ে।
তাঁর এই ব্যাবহারে রুষ্ট হয়ে হয়ে এক মুসলিম ছাত্র অভিযোগ জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে, তবে স্কুলের শিক্ষকেরা তাদের শিক্ষকের পাশেই দাঁড়িয়েছে এই বিষয়ে।
এদিকে ক্রিস্টমাসের (Christmas) সময় ফ্রান্সের সোমাইন শহর (Somain city , France) বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় এক আফগান শরণার্থী জেহাদি। পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাকে। অন্যদিকে গোটা ফ্রান্স (France) জুড়ে ইসলাম বিরোধী মনোভাব (Islamophobia) ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। ফ্রান্সে দক্ষিণপন্থী আন্দোলন (Right wing movement) প্রায় ১০০% বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসি পুলিশ।
পরিসংখ্যান বলছে মুসলিম জনসংখ্যা হু হু করে বাড়ছে ইউরোপে।
ইসলাম বিরোধী আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হলেও, ইসলাম সবচাইতে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। প্রায় ৫ মিলিয়ন মুসলিম ফ্রান্সে বাস করেন। ওই দেশ এখন ইউরোপের সর্বাধিক মুসলিম জনবহুল দেশ। এর পর, জার্মানির স্থান। ওই দেশে ৪ মিলিয়ন মুসলিম বাস করেন।
কয়েকদিন আগেই নতুন আইন এনে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে ফরাসি সরকার। এর আওতায় ফ্ৰান্স এ বন্ধ হচ্ছে সমস্ত মাদ্রাসা। প্রায় ৭০% মসজিদও বন্ধ করে দিচ্ছে ফরাসি সরকার । কোনো মুসলিম ধর্মগুরুকেও আপাতত ফ্রান্স এ আসতে দেওয়া হবেনা। সরকারের এই রূপ কড়া মনোভাবকে সমর্থন জানিয়েছে প্রায় গোটা দেশ।
তবে এই মুহূর্তে যা খুব চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ফরাসি সরকারকে, সেটা হলো ইসলামী জিহাদিদের সাথে ফরাসি বামপন্থীদের সমন্বয়।
সূত্র অনুযায়ী, ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য প্রমান আছে যেখানে বামপন্থীরা জিহাদি সংস্থা ও দলগুলির সাথে খুব ভালো সম্পর্ক রেখে চলছে এবং তাঁদের অর্থ সহ বিভিন্ন দিক দিয়ে সাহায্য করছে ।