চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রের ব্যাগ থেকে গীতা ও মালা নিয়ে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সাদাফ জাহান, ছেলেটিকে কলমা পড়তে বলে ও নিজে জুতোয় গনেশের ছবি পরে হিন্দু দেবতার অপমান করে, বিহারের স্কুলে জেহাদের এই রূপ দেখে ক্ষোভ হিন্দু জনমানসে

হিন্দুদের পবিত্রতম ধর্মগ্রন্থ গীতা অবমাননার অপরাধে অভিযুক্ত হলো শিক্ষক সাদাফ জাহান। ঘটনাটি ঘটে বিহারের গয়াতে। জাহান গীতা ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে এবং হিন্দু দেবদেবীদের নাম কুশব্দ প্রয়োগ করে।
এই ব্যাপারটি জনসমক্ষে নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। ওই ছেলেটি গয়ার বাগেশ্বরী রোডের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পাঠরত অবস্থায় এই ঘটনাটি চাক্ষুষ করে।

সে আবার ইস্কন মন্দিরের পুরোহিতের ছেলে। এক ভাইরাল ভিডিওতে ওই বালক বলে যে শিক্ষক সাদাফ জাহান তাকে এই বলে শাসায় যে ঘটনাটি কাউকে জানালে তার পিঠের চামড়া তুলে নেয়া হবে। উল্লেখ্য, ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল-ইন-চার্জ হলেন আমিনা খাতুন।

ভিডিওতে বালকটি বলে, “আমি স্কুলে যাওয়ার পর সাদাফ ম্যাডাম লাঞ্চের পর আমাদের রুমে এসে ব্যাগ চেক করেন। আমার ব্যাগে গীতা এবং মালা থাকে। সাদাফ ম্যাডাম গীতা ও মালা ডাস্টবিনে ফেলে দেন। শুধু তাই নয়, তিনি হিন্দু দেব দেবীদের নামে কুৎসা করেন। সাদাফ ম্যাডাম তাঁর জুতোতে গনেশ ঠাকুরের ছবি ব্যবহার করেন। “

গয়ার ইস্কন মন্দিরের ইন-চার্জ প্রভুজি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “গয়ার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের এক মুসলিম শিখিসকা হিন্দু ছাত্রের ব্যাগ থেকে গীতা ও মালা নিয়ে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলেন। শুধু তাই নয়, তিনি হিন্দু দেব ও দেবীদের নাম অপমানজনক মন্তব্য ও কুৎসা করেন। হিন্দু ছাত্রটিকে এই বলে ধমক দেন যে এই ঘটনা কেউ জানলে তার পিঠের ছাল ছাড়িয়ে নেয়া হবে।”

ছেলেটির বাবা রাহুল সিং অভিযোগ করেন এর আগেও ধার্মিক হওয়ার জিন্য তাঁর ছেলের নামে কটূক্তি করা হয়। পুলিশ ও স্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। তিনি আরো বলেন আমিনা খাতুন ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল হওয়ার পর মুসলিম শিক্ষক নোয়োগের মাত্রা বেড়ে যায়।

সিংহ আরো বলেন, “আমার ছেলেকে আমি সনাতন ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করি। সে সবসময় ভগবানের নাম করে। আমার ছেলেকে জোর করে কলমা পড়তে বলা হয়, কিন্তু সে অস্বীকার করলে তাকে ডাস্টার দিয়ে মারা হয়। তাছাড়া কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা ও হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.