টুইটার ইস্কন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ হিন্দু ইউনিটির টুইটার হ্যান্ডেল দুটি ডিলিট করেছে। হ্যাঁ, সাসপেন্ড নয়, ডিলিট। কারণ এরা সারা বিশ্বে বাংলাদেশে ঘটে চলা হিন্দু জেনোসাইড নিয়ে জনমত সংগঠিত করছিল। এই ডিলিট করার অর্থ এরা আর টুইটারে কোনোদিনও ফিরে আসতে পারবে না, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো।
Bangladesh ISKCON’s Twitter account closed, Kirtan protests around the world on Oct 23 against the barbaric Jihadi attacks on minority Hindus in Bangladesh. Former US Congresswoman Tulsi Gabbard condemns.
See link: https://wp.me/pCXJT-cbi.
বাকস্বাধীনতা? স্বচ্ছতা?
টুইটারে তালিবান সংগঠনের তথাকথিত নেতারা যথারীতি বিদ্যমান, ভেরিফায়েড ব্লু টিক সমেত। বিভিন্ন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনও তাদের মুখপাত্রদের নিয়ে টুইটারে বিদ্যমান। কিন্তু হিন্দু জেনোসাইড নিয়ে কোনওভাবেই সারা বিশ্বকে জানানো যাবে না। সহানুভূতি আদায় করা যাবে না। এরাই আজকের দুনিয়ায় মতপ্রকাশের অধিকার কার কতটুকু তা নির্ধারণ করে দেবে। কোনও আইনই এরা মানে না, কারণ এরা এদের নিজস্ব আইন মেনেই চলে। সেটিই সর্বোচ্চ। সর্বমান্য। অমোঘ।
এই বিশ্বে এখন চার পাঁচটি বিগ টেকনোলজি বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, মানবিক আবেগ, বিচার, মতাদর্শ, মতবাদ সব নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যত। গুগল, ফেসবুক, টুইটার, মাইক্রোসফট, আমাজন- এরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। এরা চাইলে পৃথিবীর সর্বশক্তিমান দেশের সরকার ফেলে দিতে পারে। এরা চাইলে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রকে হাসির খোরাক বানাতে পারে, মন্ত্রীত্বও কেড়ে নিতে পারে। এরা চাইলে চীনকে বিশ্বের মহানতম দেশ বানাতে পারে। এরা চাইলে হিন্দুদের নিকৃষ্টতম মৌলবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
এই সংস্থাটির পঞ্চাশ শতাংশের বেশি শেয়ার এখন আরব শিল্পপতিদের দখলে। এই হিন্দুবিদ্বেষ এবং তালিবান প্রীতির কারণটি তাই সহজেই অনুমেয়। এরা বিশ্বে নাকি ফ্রি স্পিচ প্রতিষ্ঠা করতে চায়! তার নমুনা দেখে স্তম্ভিত হতে হয়। বয়কট বিগ টেক, বয়কট টুইটার। বড্ড দেরি হয়ে যাওয়ার আগে এদের উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ মানবাধিকার রক্ষার জন্যই জরুরি।