সনাতন ধর্মমত বলছে, শ্রাবণ মাসে শিবের পুজো করলে নাকি পুণ্য লাভ হয়। কারণ শ্রাবণ মাস ভগবান শিবের মাস। পুরাণ অনুসারে, এই শ্রাবণেই হয়েছিল সমুদ্র মন্থন। মন্থনে উঠে আসা গরল নিজের কণ্ঠে ধারণ করে নীলকণ্ঠ হয়েছিলেন শিব। তাই এই মাসে পুণ্য অর্জনের জন্য শিবমূর্তি বা শিবলিঙ্গে দুধ ও গঙ্গাজল ঢালেন ভক্তরা। কথিত আছে, শ্রাবণ মাসের সোমবার শিবের পুজো করলে সব দেবতার পুজোর পুণ্য ফল লাভ করা যায়।
আবার সোমবার শিবের জন্মবার হিসেবে পালন করা হয়। তাই শ্রাবণ মাসের এই বিশেষ দিনটিতে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় তারকেশ্বর মন্দিরে। এই রাজ্য ছাড়াও অন্য রাজ্য থেকেও বহু মানুষ আসেন তারকেশ্বর মন্দিরে। দেশের বাইরে থেকেও আসেন বাবার ভক্তরা।
হুগলির বৈদ্যবাটি ও শ্যাওড়াফুলি গঙ্গার ঘাট থেকে বহু পুণ্যার্থী গঙ্গা জল নিয়ে বাঁকে করে দীর্ঘ ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে বাবার মাথায় জল ঢালতে আসেন পুণ্য লাভের আশায়। তাই গোটা শ্রাবণ মাস ধরেই লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় তীর্থ ক্ষেত্র তারকেশ্বরে।
মেলা চলে এক মাস ধরে, মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবারের শ্রাবণী মেলায়।
মেলা উপলক্ষে ৫৫টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া রাত্রের বিশেষ নিরাপত্তার জন্য ত্রিশটি বাইকে বিশেষ বাহিনীরও ব্যবস্থা করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ।
সেই সঙ্গে বিশেষ ভাবে মন্দির চত্বরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনটি গেটে তিনটি মেটাল ডিটেক্টর এবং হাতেও থাকছে অগুনতি ডিটেক্টর। এ ছাড়াও বিশেষ নিরাপত্তার জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারকেশ্বর পৌরসভার পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে মেলায়। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং মেডিকেল টিমের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তারকেশ্বর গ্রামীন হাসপাতালের একটি বিশেষ টিমও মোতায়েন থাকবে মেলা চলাকালীন।