সমালোচনা কর ঠিক আছে, কিন্তু যে ব্যপারে কেউ ফেনমেনন, যার এই সাফল্যর সাথে বুবকা,মাইকেল ফেল্পস আর বোল্টের স্ব স্ব ক্ষেত্রের সাফল্যর তুলনা করা যায়। সেই ব্যক্তির সেই ব্যপারে সমালোচনা মানা যায় না।
হ্যাঁ আমি আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রী মোদিজীর কথা বলছি। যখন যে সংসদীয় ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হয়েছে তখন থেকে তিনি সেখানে অপরাজেয় থেকেছেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ছিলেন।
সেই সময়ের মধ্যে তিনবার বিধানসভার নির্বাচন হয় তাতে তিনি বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছেন।
২০১৪ তে উনি প্রথম ভারতের কেন্দ্রীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় পা রাখেন, সেখানেও তিনি অপরাজেয়। এই ব্যবস্থায়ও, “তিনি এসেছেন, দেখেছেন, জয় করেছেন।”
হটাৎ এত কথা বল্লাম কেন?
গতকাল মাননীয়ার অন্য আসনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে জি ২৪ঘন্টার এক প্রতিবেদনে তৃণমূলের একজন প্রতিনিধি বিচ্ছিরি ভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদিজীকে আক্রমন করে।২০১৪তে মোদিজী নাকি বেনারসে হারার ভয়ে গুজরাটের ভদোদরায় দাঁড়িয়েছিলেন। সেই গবু চন্দ্রকে জবাব দেওয়ার জন্য এই পোস্ট।
মোদিজী গুজরাটের ভূমিপুত্র, তিনি তখন শুধুই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী আর সেবারই ওনার লোকসভায় প্রথম প্রার্থী হওয়া।
স্বাভাবিক তিনি গুজরাটের কোনো আসন থেকেই লড়বেন। তাই ওনাকে ভদোদরায় প্রার্থী করা হয়েছিল।
এরপরই বিজেপি দল একটা মাস্টার স্ট্রোক দেয়। মোদিজীকে বেনারস থেকে প্রার্থী ঘোষনা করা হয়। এই মাস্টার স্ট্রোকই ২০১৪ এর গেমচেঞ্জার হয়ে ওঠে।
২০১৪ এর আগে ইউপিতে বিজেপির অবস্থা ভালছিল না। তার আগে২০০৯ এর লোকসভায় নামমাত্র সিট পায় বিজেপি। ২০১২ সালে বিজেপি ইউপির বিধানসভা ভোটে ৩য় স্থান পায়। এই সময় কাউকে বিশ্বাস করানো কঠিন ছিল যে বিজেপি ইউপিতে ৩০টা আসন পেতে পারে। সেই সময় মোদিজীকে বেনারসে দাঁড় করিয়ে বেনারসের জনপ্রিয় শ্লোগানের অনুকরনে শ্লোগান বানালো “হর হর মোদি,ঘর ঘর মোদি”।
এই শ্লোগান শুধু বেনারস না সারা ইউপি এমনকি সারা ভারতে ছড়িয়ে পরল। এতে ইউপিতে ঝড় বয়ে যায়। বিজেপি ইউপির ৮০ মধ্যে ৭৫টা আসন পেল।
মোদিজীর বেনারসে দাঁড়ানোটা ছিল একটা স্ট্র্যাটেজি যা সুপার ডুপার হিট করে।
মাননীয়ার নন্দীগ্রামে দাঁড়ানো সেই মোদিজীর বারানসে দাঁড়ানোর স্ট্র্যাটেজির কপি করা। মাননীয়া ভেবেছিলেন উনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হলে সেই হাওয়ায় পূর্বমেদিনীপুরে একটা হাওয়া তোলা যাবে যেমন মোদিজীর বেনারসে দাঁড়ানোয় হাওয়া বয়েছিল।
কিন্তু দুঃখের বিষয় মাননীয়ার এই স্ট্যাটেজি সুপার ফ্লপ করেছে।
সবসময় কপি করে হিট হয় না।
রাজ চক্রবর্তীর সিনেমাই তার প্রমান।
তাপস