ওহে কমরেডস রা এবার সাবধান হও, বাম-অতি বাম- অল্প বাম, সব বামেদেরই বলছি, অনেক হয়েছে, আর নয়।
শুরু থেকেই চলছে তোমাদের বাঙলা তথা দেশ কে অপমান করার অপচেষ্টা। শুরু করেছিলে নেতাজী কে তোজোর কুকুর, কুইসলিং বলে। চীনের ভারত আক্রমণ কে সমর্থন করেছিলে বলে দু ভাগ হলে।
যে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব কে নিয়ে বাঙালী গর্ব অনুভব করে সেই রামকৃষ্ণ কে তোমরা মৃগী রুগী বলেছিলে।
যে স্বামীজী গোটা বিশ্বে ভারত তথা হিন্দুত্বের ভিত প্রতিষ্ঠা করলেন তাকে তোমরা অপমান করেছো বেকার ভবঘুরে বলে।
যে কবিগুরু কে বিশ্বকবি বলা হয়, তাকে তোমরা বুর্জোয়া কবি বলে অপমান করেছো।
ইশকন, যারা শ্রী কৃষ্ণের বাণী বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে তাদের মন্দির কে তোমরা CIA এর গোপন ডেরা বলে অপপ্রচার চালিয়েছিলে।
যে মেকি দলিত প্রেম আজ দেখাচ্ছো, সেদিন যখন মরীচঝাঁপিতে হাজার হাজার নমশুদ্রদের মেরে,মহিলাদের ধর্ষণ করে, কেটে সুন্দরবনের নদী তে, আর সাগরে ভাসালে, তখন..?
বিজন সেতুর উপর নিরীহ, ঈশ্বরের উপাসক আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী দের জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিলে।
বানতলায়- ধানতলায় যা করেছিলে, আর তার জন্য জ্যোতি বসু ওরকম বানতলা ধানতলা অনেক হয় বলেছিলো। মাদ্রাসায় বিয়েবাড়ির কনেযাত্রী বোঝাই বাসের মহিলাদের পর পর ধর্ষণ।
যে “Water” সিনেমায় বৃন্দাবনের বিধবা মহিলাদের (বেশীরভাগ বাঙালী) বেশ্যা দেখানো হচ্ছিল বলে বজরঙ্গ দল বারানসি তে সেট পুড়িয়ে শুটিং বন্ধ করে দেয়, সেই মীরা নাইয়ার কে এই রাজ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলে। আর প্রতিবাদ করলে মাথা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবো, বলেছিলে।
রশিদ খান কে তৈরি করেছিলে আমাদের মানে হিন্দুদের উপর রাজ করানোর জন্য, বউবাজার বোমা বিস্ফোরণ না হলে আমরাই শেষ হয়ে যেতাম।
নন্দীগ্রামে নির্বিচারে মানুষ মেরেছো, কত লোকের লাশ আজো পাওয়া যায়নি। হাওয়াই চটির পুলিশ সাজিয়েছো।
আমতায় ভোট কংগ্রেস কে দেওয়ায় হাত কেটেছো, ছেলের গলা কেটে সেই রক্ত ভাতের থালায় মাখিয়ে খেতে বাধ্য করেছো।
লালবাজারে বিরোধী নেত্রী কে চুলের মুঠি ধরে মেরেছিলে, মাথায় ডাণ্ডা মেরেছিলে। সমাবেশে গুলি চালিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করিয়েছিলে।
মাটির তলায় কংকাল সরণী তৈরি করেছিলে।
ভোটে হেরে এতদিন ঘাপটি মেরেছিলে আর আজ কাল…..
কোথায় দাদরি কান্ড হয়েছে আর ওমনি এখানে প্রকাশ্যে গোরুর মাংস খেয়ে আমাদের সকলকে দেশের কাছে ছোট করেছো (যা মুসলিম রাও কোনোদিন এই রাজ্যের রাজপথে প্রকাশ্যে কোনোদিন করেনি)। আর একবার শুয়োরের মাংস খেয়ে সেকুলারত্ব দেখানোর চেষ্টাও করোনি।
আর এখন কোথায় হায়দ্রাবাদে দলিত না ওবিসি তাই নিয়েও দ্বন্দ্ব চলছে, সেই রোহিত এর আত্মহত্যা নিয়ে, আমাদের রাজ্যে আবার হিন্দুত্বের অপমান করতে নেমে পড়লে।
কেশব ভবন কি করলো ? আক্রমণ করতে ওখানেই যেতে হলো ?
কালিয়াচকের বেলায় জামাত এর দপ্তরের সামনে গেলে না কেন ? নাখোদা মসজিদের সামনে কালো পতাকা নিয়ে ধর্না দিতে পারতে।
না, তা করবে না। সহনশীল হিন্দু তাই না ?
আর মার খেতেই চীৎকার ? অত্যাচার -অত্যাচার, ।
তবে হ্যাঁ একটা ঘটনা মনে পড়লো, রেজ্জাক মোল্লার কথা, মার খেতেই কম্যুনিজম ভুলে গেছে। (মার খেয়ে এরাও না শাখার মাঠে যায়–)
শুনলাম গীতা পুড়িয়ে, পৈতে পুড়িয়ে প্রতিবাদ !!
সত্যি ?
ঐ গীতা আমাদের শক্তি, ঐ গীতার বাণীতেই আমরা উদ্বুদ্ধ। গীতা বুকে রেখেই বিপ্লবীরা ইংরেজ দের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। তাই সাবধান।
বাম-অতি বাম কান খুলে শোন, সহিষ্ণু থেকে হিন্দুদের অসহিষ্ণু হতে বাধ্য কোরোনা । ইতিহাস সাক্ষী আছে হিন্দু ঠান্ডা থাকলে বরফ লজ্জা পায় আর রাগলে আগ্নেয়গিরি মুখ লোকায়। এতদিনের চেপে থাকা রাগের বিষ্ফোরন ঘটলে বামেদের ঝন্ডু বামের স্বরনাপন্ন হতে হবে |
2021-04-30