বাম আর আব্বাস একসাথেই চলবে- বামেরা যাতে প্রধান বিরোধী দল না হতে পারে তার চেষ্টা করতে হবে


একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা বলার প্রয়োজন বলে মনে করছি। এবার বিজেপি জিতে ক্ষমতায় আসবে এই ব্যাপারটা বোঝা যাচ্ছে। তার সাথেই আরেকটা বিষয় যেটা উঠে আসছে তা হলো বামেদের আবার শক্তিবৃদ্ধি।

বিজেপি সরকার যত পুরানো হবে বামেরাও তত শক্তিশালী হয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়ে আত্মপ্রকাশ করবে। তার সাথেই আব্বাস জোট ভাঙ্গবে বলে মনে হয় না। বাম আর আব্বাস একসাথেই চলবে। বামেরা যাতে প্রধান বিরোধী দল না হতে পারে তার চেষ্টা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, একটি ব্যাপার লক্ষ্য করার মত, তা হলো, বামেরা তাদের সেনাপতি বদল করবে বলে মনে হচ্ছে। অর্থাৎ বিমান বোস, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী ইত্যাদিরা পেছনে চলে গিয়ে শতরূপ, সৃজনের মত নেতাদের জায়গা করে দেবে।

কিন্তু তার থেকেও বড় যে বিষয়টি খেলতে চলেছে বামেরা, তা হলো মহিলা কার্ড। সেটা ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছেন হয়তো অনেকে। ওরা সামনে তুলে ধরতে চাইছে মীনাক্ষী মুখার্জী আর দীপ্সীতা ধরকে। তারা এদেরকে প্রমোট করার কাজ বেশ ভালোই শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির এই দুজনের বিরোধিতা এদেরকে আরও সামনে এনে দিতে পারে। তাই আমার মতে এই মূহুর্তে এদের দুজনকে যতদূর সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া হোক।

অন্যদিকে বিজেপি এই বিষয়টিতে পিছিয়ে আছে। বিজেপির মধ্যে এই ধরনের তরুন রাষ্ট্রবাদী মহিলা মুখ নেই ফাইট দেওয়ার মত (সেলিব্রিটি বা অভিনেত্রীদের কথা ধরছি না)। তাই বিজেপির উচিৎ দলে এই ধরনের বিকল্প তরুন মহিলা মুখ আমদানী করা।

একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, গত ১০ বছর কিন্তু এই ফাইট দেওয়ার মত একজন মহিলা মুখ থাকার কারনেই তৃনমূল সরকার টিকেছিলো।

দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে এই মেসেজ পৌছাতে পারলে ভালো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.