কারোর মনে আছে “গলানো সোনা আঠাশ টাকা”? ধারা সর্ষের তেলের এই বিজ্ঞাপনে কলকাতা শহর ছেয়ে গিয়েছিলো একটা সময়ে। শুনেছি অনেকে বুঝতে না পেরে সোনার দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ব্যাপারখানা কি। যাই হোক, গরুর দুধে সোনা নিয়ে যারা খিল্লি করেন, এটা তাদেরকে মনে করিয়ে দিলাম। আমি দিলীপ ঘোষের ভক্ত হয়ে গিয়েছি। আমার মতো অনেকেই হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, এরা দলে ভারী হচ্ছে। তার কারণ কি জানেন? আমরা যারা সবাই মুখের ওপর সঠিক কথাটা চোখে চোখ রেখে বলতে পারি না, অনেক সময় অসম্মান এবং অপমানটা হাসি মুখে গিলে ফেলি, তাদের জন্য উনি inspiration। আমাদের শহুরে, নামি স্কুল এর পড়া ভদ্রতা আমাদের ঢোক গিলতে শেখায়, ভদ্রভাবে এড়িয়ে যেতে অথবা হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলিয়ে মোসাহেবি করতে শেখায়। দিলীপ দা র গ্রাম্য সততা এবং নিশ্চয়ই RSS এর মতাদর্শ ওনাকে এরকম আপোষহীন করেছে। উনি যেটা ঠিক মনে করেন সেটা অন্য কেউ ঠিক মনে করলো কি করলো না তার দায় তো ওনার হতে পারে না। সাদা বাংলা এ বললে বলা যায় প্রচন্ড confidence নিজের ওপর। এই confidence কে কুর্নিশ করতে বাধ্য হলাম। TV serial এর অভিনেত্রী মোনালিসা, আপনাদের মতো মেয়েদের প্রব্লেম হলো এই যে আপনারা বারমুডা পরলে hep and happening, কিন্তু কেউ পরতে বললে আপনাদের নারীবাদ জেগে ওঠে। Equality র জন্য যখন লড়াই করেন – তাহলে অপমানিত হতে ও শিখুন। কথা বলার আগে কথা শোনার অভ্যেস করুন। পুরুষকে attack করার বেলায় আপনি equal, আর সে পাল্টা বললেই আপনি মহিলা হয়ে গেলেন? আপনি একটা কথা সত্যি বলেছেন যে আপনি একজন সাধারণ মানুষ। আপনি অতি সাধারণ তাই যেই চান্স পেলেন, অমনি feminine কার্ড খেলতে শুরু করলেন। যে ঢক্কা নিনাদ দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেছিলেন, সেটা ৩০ সেকেন্ডও বজায় রাখতে পারলেন না। আপনাদের toxic feminism, যা শবরীমালা মন্দিরে ঢোকার জন্য আপনাদের ব্যাকুল করে, সেটা কিন্তু বুমেরাং হয়ে ফেরত আসছে। Zomato র ঘটনাটা তার একটা ছোট্ট trailor। সামলে যান, নইলে Hitesha Chandrani র মতো পালাবার পথ পাবেন না।
লিখলেন কানাডায় বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয় গবেষক অভিরূপা সেন।