আজ থেকে দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান শুরু

আজ থেকেই দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান শুরু। রাজ্যে-রাজ্যে কীভাবে অগণিত মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা যাবে সেব্যাপারে স্পষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে আজ থেকেই প্রয়োগ হবে করোনার টিকা।

ইতিমধ্যেই টিকাকরণ নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা সাজিয় ফেলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের অন্যান্য় রাজ্যের পাশাপাশি আজ টিকাকরণের ড্রাই রান পশ্চিমবঙ্গেও। বাংলার তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৫ জন করে স্বেচ্ছাসেবকের উপর টিকার ড্রাই রান হবে।

করোনা-যুদ্ধে অবশেষে ‘সুখবর’। আজ থেকেই দেশজুড়ে করোনা টিকার ড্রাই রান শুরু। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে করেনাার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রের। সুবিশাল দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালানো সহজ ব্যাপার হবে না।

এবিষয়টি নিয়ে কয়েকমাস আগে থেকেই স্পষ্ট একটি রুটম্যাপ সাজিয়ে নিয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। শেষমেশ আজ থেকে দেশজুড়ে করোনা টিকার ড্রাইরান শুরু। রাজ্যে-রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচি চালানো হবে। এই ধাপে এই কর্মসূচির উপর বিশেষভাবে নজর রাখবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তারা।

টিকাকরণের কাজ চালাতে গিয়ে কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কিনা, বা টিকাকরণের গতি বাড়াতে গেলে আরও কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, আজ ড্রাই রান থেকেই সেই ধারণাই নেওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জায়গায় করোনা টিকার ড্রাই রানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আমডাঙা, মধ্যমগ্রাম-সহ মোট তিনটি জায়গাকে করোনা টিকার ড্রাইরানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাকরণের কাজ করবেন।

এদিকে, শুক্রবারই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড-কে জরুরি ভিত্তিতে দেশে প্রয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দেশে কোভিশিল্ড প্রয়োগের ব্যাপারে যুদ্ধকালীন তৎপরতা নিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তারা ভ্যাকসিন প্রয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে এব্যাপারে দফায়-দফায় আলোচনা চালাচ্ছেন।

অক্সফোর্ডের কোবিশিল্ড ভ্যাকসিনকে জরুরি কালীন ভিত্তিতে এদেশে প্রয়োগের ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই এই ভ্যাকসিন রাজ্যে-রাজ্যে কীভাবে প্রয়োগ করা হবে সেব্যাপারে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলবে কেন্দ্রীয় সরকার।

পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং মাসখানেক আগেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখে এসেছিলেন।

সেরামের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেরামের কর্ণধার আদর পুণেওয়ালা জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে কোভিশিল্ড টিকার ৩০ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.