গত 06/11/2020 তারিখ দুবরাজপুর বীরভূম এর অন্তর্গত একব্বরপুর গ্ৰামের স্থায়ী বাসিন্দা বৃন্দাবন অঙ্কুর, ঁপিতা কোমল অঙ্কুরের ধানের পালোইতে রাত্রি আন্দাজ 1 টার সময় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কে বা কারা এই মাঠে রাখা ধানের পালোইতে আগুন ধরিয়ে দেয় তা জানা যায়নি। বৃন্দাবন অঙ্কুর, তার বড় ছেলে উৎপল অঙ্কুর এবং মিলন অঙ্কুরের ধান ঐ মাঠেই রাখা ছিল। ঐ কৃষক পরিবারের কষ্ট করে ফলানো ফসলগুলোকে সম্পূর্ণ ভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু এই অঙ্কুর পরিবারটি বিজেপি দলকে সমর্থন করে তাই তাদের উপর অনেকের রাগ থাকতে পারে বলে তারা মনে করেন। তাদের মত অনুসারে এই বিজেপি করার অপরাধেই এই আগুন দেওয়া হয়েছে বলে ধারনা। ধানের জমির পরিমাণ প্রায় 34 শতক। এই 34 শতক ধান পুড়ে যাওয়ার ফলে এই পরিবারটি চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। দুবরাজপুর ব্লকের B.D.O র কাছে এই অসহায় অঙ্কুর পরিবারটি উপরুক্ত অমানবিক ঘটনাটির বিবরন দিয়ে অভিযোগ পত্র জমা করেছে।
এই ঘটনার মতই গতকালের আর একটি নৃশংস ঘটনা ঘটে বারাবনি থানার অন্তর্গত জামগ্রামে। ‘আর নয় অন্যায়’ বলে বিরোধী দলের একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল যাচ্ছিল। বিজেপির সেই মিছিলে বর্তমান শাসকদল গুলি চালায়, যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও অতীতে এমন নৃশংস ঘটনা শাসকদল আরো ঘটিয়েছে। বিজেপির 130/135 জন সদস্যকে বিজেপি দল সমর্থন করার অপরাধে প্রান হারাতে হয়েছে।
এভাবে দিনের পর দিন এ রাজ্যের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী যদি বিরোধী দলের ওপর এভাবে নৃশংস অত্যাচার করতে থাকে তা হলে তা রাজনৈতিক ও সামাজিক কোনো ক্ষেত্রেই সুস্থতা নিয়ে আসতে পারে না। এ রাজ্যের বর্তমান শাসকদল কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতা করছেন এই কারণ দেখিয়ে যে তারা নাকি কৃষকদের পাশে, কিন্তু তারা যদি সত্যিই কৃষকদের পাশে থাকতেন, তাহলে দুবরাজপুরের কৃষক বৃন্দাবন অঙ্কুরের কষ্ট করে ফলানো 17 বিঘা জমির ধান কি এভাবে বিজেপি করার অপরাধে কেউ পুড়িয়ে দিত?
বর্তমানে কোভিডের জন্য যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে একজন কৃষকের কষ্টার্জিত এই ফসল পুড়িয়ে মুখের খাবার কেড়ে নেওয়ার ঘটনা কি চরম নৃশংসতার প্রমান নয়? বিরোধী দলের এই সামান্য বিরোধিতার ঘটনার গুলোর জন্য যদি এভাবে পুড়িয়ে, গুলি করে, জেলে পুরে দিনের পর দিন এভাবে অত্যাচার করতে থাকে এ রাজ্যের বর্তমান শাসকদল, তবে তা সমাজে সুষ্ঠ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরীতে বাধা সৃষ্টি করে নৃশংস ঘটনায় বিস্তার ঘটাবে।।