৪ এপ্রিল রেহান মীর ফারুক নামের এক জমি মাফিয়া পটুয়াখালী জেলার পুরোনো মাহিপুরের অন্তর্গত মাহিপুর থানার বাসিন্দা নারায়ণ সরকারের পৈতৃক ভিটে দখল করে।
৬ এপ্রিল যশোর জেলার চৌগাছা থানার তিনটে গ্রামের পঞ্চাশটা হিন্দু পরিবারের ১০০ বিঘা ভূমি স্থানীয় ভূমিদস্যু ইশহাক আলি ও তার দুই ছেলে আকমল হোসেইন ও আশরফ আলি বলপূর্বক অধিকার করে।
৭ এপ্রিল ইসলামী মৌলবাদীরা পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে।
৮ এপ্রিল নবী হজরত মুহাম্মদ সম্পর্কে ‘আপত্তিজনক’ কথা পোস্ট করার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনীতে ইন্দ্রজিৎ হাজারী (৩৫) নামে এক বিদ্যালয় শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
৯ এপ্রিল বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কুকি কালিদাস গ্রামে দুর্বৃত্তরা শিব মন্দিরের শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ এবং লক্ষ্মীর প্রতিমা ভাঙচুর করে।
১০ এপ্রিল বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জের ১০৪ দেওয়াতলা মৌজার অন্তর্গত যবন মৃধার ছয় বিঘা পৈতৃক ভূমি (এসএ ৭১৭ খতিয়ানের অন্তর্গত) জাহিদুল হাওলাদার অধিকার করে
১১ এপ্রিল ফরিদপুর জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা টিটুকান্দি গ্রামের বাসিন্দা, হিন্দু ব্যবসায়ী অসিত কুমার সরকারের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে স্থানীয় সমাজবিরোধী মো. শাহিন শেখ। পরবর্তী সময়ে মো: শাহিন শেখ এবং আরো ৩০ জন স্থানীয় দুষ্কৃতী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী অসিত সরকারকে আক্রমণ করে এবং গুরুতর ভাবে আহত করে।
১২ এপ্রিল সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে আলী মুন্সী ও তার ছেলেরা সুধাংশু দাসের বাড়িতে লুটপাট করে এবং প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান গাছ কেটে ফেলে।
১৩ এপ্রিল স্থানীয় অপরাধীরা অসহায় বিধবা বাসনা রানী দাস এবং ওঁর ছেলে-মেয়েকে নির্মমভাবে মারধর করে আহত করে এবং তাঁর বাড়ি ও সম্পত্তি দখল করে।
১৫ এপ্রিল নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বাসিন্দা ধনেশ্বর রায়ের মেয়ে প্রতিমা রানীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হয়।
১৬ এপ্রিল বরিশাল জেলার আগৈলঝড়া থানার অন্তর্গত পশ্চিম সুজনকাঠি (মল্লিকপুর) গ্রামে হারুন মল্লিক এবং তার দুই সমাজবিরোধী পুত্র একটি হিন্দু পরিবারে আচমকা আক্রমণ চালায়। এই ঘটনাতে চারজন হিন্দুকে গুরুতর আহত অবস্থায হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৭ এপ্রিল গোলাম মোস্তফা ও তার সহযোগীদের নিয়মিত হয়রানির কারণে রাজশাহী জেলার বাসিন্দা নিমাই সরকারের কন্যা অষ্টমী সরকার (১৪) তার ঘরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।
১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রাম জেলার অন্তর্গত নাগেশ্বরী উপজেলাতে ইসলাম সম্পর্কে ফেসবুক পেজে অশ্লীল মন্তব্যের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে নিরীহ হিন্দু শিক্ষার্থী পরিতোষ কুমার সরকার নামের এক কলেজ ছাত্রকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
১৯ এপ্রিল কোভিড-১৯-এর কারণে লক ডাউন চলাকালীন সব কিছু উপেক্ষা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে মওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারির জানাজা বের হওয়া নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস পোস্ট করার কারণে বাগেরহাটে অন্তর্গত ফকিরহাটের বাসিন্দা মধু কুণ্ডুকে(৩২) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
২১ এপ্রিল হিন্দুদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে সাতকানিয়ায় ৩০টি হিন্দু পরিবারের উপর, জিয়া উদ্দিন হাবিবুল্লাহ ও মুসা উদ্দিনের নেতৃত্বে ষাট জনের একটা স্থানীয় সন্ত্রাসীদল আক্রমণ করে। এই ঘটনার কারণে শিশু সহ ২৫ জন হিন্দু গুরুতর আহত হন।
২২ এপ্রিল জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর পৌর শহরের পারঘাটি মন্দিরে জমায়েত করতে বাধা দেওয়ার জন্য দুষ্কৃতীরা মন্দিরে ভাঙচুর করে এবং বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায়।
২৩ এপ্রিল খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় এক হিন্দু ব্যক্তি সুব্রত মণ্ডলকে (৩০ বছর বয়সী) হত্যা করে দুষ্কৃতীরা।
২৪ এপ্রিল বাগেরহাট জেলার মোংলায় একটি হিন্দু পরিবারকে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। একজন গর্ভবতী মহিলা সহ পরিবারের ছয় সদস্য তাতে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
২৫ এপ্রিল বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দির বাসিন্দা রবিদাসের সম্পত্তি অধিকারের উদ্দেশ্যে তার উপরে আক্রমণ করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় সমাজবিরোধী একটি গোষ্ঠী।
২৬ এপ্রিল দুষ্কৃতীরা লক্ষ্মীপুর পৌর নগরের দুটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
২৭ এপ্রিল নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নরেন্দ্র মোক্তারের সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে, বাবুল ও তার দুই পুত্রের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী নিয়ে ঐ হিন্দু ব্যক্তিকে মারধর ও আহত করে।
২৮ এপ্রিল দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ২ নং ইসহানিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত মহেশাইল বাজারের দুর্গা মন্দির এবং তার সংলগ্ন বাঁকালি মন্দিরে আক্রমণ করে শিব ও কালী মূর্তি ভাঙচুর করে।
২৯ এপ্রিল পাঁচ বিঘা জমি দখলের উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার বাসিন্দা বিকাশ চন্দ্র ঘোষের উপর ৩৫ থেকে ৪০ জন মুসলিম আক্রমণ করে। সেই সময় যখন সোলেইমান গাজী তার লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক দিয়ে বিকাশ ঘোষকে হত্যা করার চেষ্টা করে, তখন বিকাশ ঘোষ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
সূত্র: স্থানীয় সংবাদপত্র ও হিউম্যান রাইটস অবজারভেটরি ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিজ