সোমালিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের দেশের ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার তিনি এই নির্দেশ দেওয়ার পরেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। এর ফলে আফ্রিকা-সহ গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। নাশকতার ঘটনা বাড়বে বলেও দাবি তাঁদের।
শুক্রবার একটি বিবৃতিতে প্রকাশ করে পেন্টাগন জানায়, ২০২১ সালের প্রথম থেকেই আস্তে আস্তে সোমালিয়া (Somalia) থেকে মার্কিন সেনাকর্মীদের দেশে ফেরানো হবে। তবে এর মানে এই নয় যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন এসেছে। কারণ এখন সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও যেকোনও সময় ফের সেখানে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালাতে পারবে আমেরিকা। এমনকী যে কেউ সেখানে বসে আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারবে।
মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলেই চিন্তায় পড়েছে সোমালিয়ার সরকার। এপ্রসঙ্গে সোমালিয়ার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর এক আধিকারিক কর্নেল আহমেদ আবদুল্লাহি শেখ (Ahmed Abdullahi Sheikh) বলেন, ‘আল কায়দার মদতপুষ্ট আল শাবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত সোমালিয়ার বিশেষ বাহিনীকে সবরকম সাহায্য করত মার্কিন সেনারা। সোমালিয়ার নিরাপত্তারক্ষীদের উন্নত মানের সামরিক প্রশিক্ষণও দিতে। এর ফলে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত রোখা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু, এখনও যদি মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া তাহলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আল শাবাব ও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাদের সংগঠনের সদস্যরা মনোবল ফিরে পাবে। যার ফলে ক্ষতি হবে গোটা বিশ্বের। তাই সদ্য নির্বাচিত হওয়া জো বিডেনের কাছে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানাব আমরা।’