পাকিস্তান যে তালিবানকে সমর্থন করছে এ কথা নতুন নয়। ইউএস কংগ্রেসের রিপোর্টে আরও একবার প্রকাশ্যে এল সেই তথ্য। সাম্প্রতিক এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তানে অস্থিরতা তৈরি করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বড় ভূমিকা রয়েছে। আফগানিস্তানে পাকিস্তানের প্রভাব খাটানোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। কংগ্রেসনাল রিসার্চ রিপোর্টে বলা হয়েছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি জন্য অনেকাংশেই দায়ী পাকিস্তান।
মূলত ইউএস কংগ্রেসের সদস্যদের জন্য এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সাধারণত এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, অন্যান্য দেশ তালিবানকে যে ভাবে গ্রহণ করতে শুরু হয়েছে, তাতে আমেরিকা যে কোনও সময় কোণঠাসা হয়ে যেতে পারে। জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন প্রশাসন কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে আফগানিস্তানে মানবাধিকারের সঙ্কট আরও প্রকট হতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন কিছুদিন আগেই বলেন, দিনের পর দিন তালিবানের সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। শুধু তালিবদেরই নয়, হাক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গিদেরও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের দিকে আমেরিকা কড়া নজর রাখছে বলেও জানিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তালিবান কাবুল দখল করার পর বক্তব্য দিতে গিয়ে এই অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান, আফগানিস্তানে ভারতের একটা বড় ভূমিকা ছিল। তাই বিরোধিতা করতে অনেক ‘ক্ষতিকারক’ কাজ করেছে পাকিস্তান।
শুধু ব্লিনকেনই নয়, আমেরিকার সাংসদ বিল কিটিং এই পরিপ্রেক্ষিতে মনে করিয়ে দেন, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কথা। আসরাফ ঘানি দেশ ছাড়া হওয়ার পর ইমরান বলেছিলেন, ‘দাসত্বের শৃ্ঙ্খল-মুক্ত হল আফগানিস্তান।’ এ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহও দাবি করেন, তালিবান চলছে পাক সংস্থা আইএসআই-এর অঙ্গুলিহেলনে।